ksrm-ads

১৬ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

চসিকের ৪১ ওয়ার্ডে মশক নিধন ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

ওষুধ ছিটিয়ে মশক নিধন ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ৭ দিনব্যাপী এই ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলবে।

সোমবার (২৬ জুলাই) নগরীর নাছিরাবাদ আবাসিক এলাকার পার্কের সামনে এ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধন করা হয়।

এসময় মেয়র বলেন, সমন্বিত মশক নিধন ব্যবস্থাপনার আওতায় প্রথম পদক্ষেপটিই হচ্ছে পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা। চার পাশে যেসব জায়গায় এডিস মশা জম্মায়, সেসব জায়গায় যাতে এডিস মশা জম্মাতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সচেতন হতে হবে। আবহাওয়াগত কারণে নগরীতে এখন মশার উপদ্রব বেড়েছে।

তিনি ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা নিন্ত্রয়ণে নগরীরবাসীর সচেতনতার উপর জোর দিয়ে বলেছেন, এডিস মশা বাসাবাড়ির স্বচ্ছ পানিতে জম্মায়। পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। নানা সময় দেখা গেছে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের বেশিরভাগই উচ্চবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর। এর কারণ এডিস মশার জীবনাচরণ। নালা, নর্দমায় জন্ম হওয়া কিউলেস মশার তুলনায় এই মশাগুলো অন্য রকম বৃষ্টি হলেই কোথাও পানি জমে থাকলে এই মশা সহজে বিস্তার লাভ করে।

তিনি আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশন কেবল বাড়ির বাইরে মশা মারতে পারে তাই আমাদের নিজ নিজ বাসা বাড়ি আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। করোনা মহামারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অদৃশ্য জীবাণুর সাথে লড়াই যেহেতু করছি তাই ডেঙ্গুর বাহক দৃশ্যমান এডিস মশা নিধন করা সম্ভব। প্রয়োজনে আরো কঠোর অবস্থানে যাওয়া হবে।

এডিসের উৎস খুঁজে ফেলে দায়ী ব্যক্তিদের জেল জরিমানায় ছাড় দেওয়া হবে না বলে মেয়র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

মেয়র নগরবাসির প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের ঝোপঝাড় পরিষ্কার ও নালায় যেখানে মশার জন্ম হয় সেখানে ওষুধ ছিটানো হবে। আমাদের যে পরিমাণ মশা ধ্বংসকারী ওষুধ আছে এই ওষুধের সদব্যবহারের মাধ্যমে প্রাপ্ত বয়স্ক মশা নিধনের জন্য এডালটিসাইড এবং মশার লার্ভা (ডিম) ধ্বংসের জন্য লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো হবে।

তাই ছাদবাগান, এসি, ফ্রিজ, ফুলের টপ, ডাবের খোশা, গাড়ীর পরিত্যাক্ত টায়ার, প্লাস্টিক বোতল, ভাঙা বালতিতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখার জন্য নগরবাসির প্রতি আহবান জানান তিনি।

তিনি বলেন, এডিস মশা যেন বংশবৃদ্ধি করতে না পারে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়াসহ সকল মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এই বিশেষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি মশক নিধন কার্যক্রম চলমান থাকবে।এ ছাড়াও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে রেডক্রিসেন্ট ও আরবান ভলানটিয়ারের মাধ্যমে নগরীতে ১ লাখ লিফলেট বিতরণ এবং মাইকিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মেয়র চট্টগ্রাম নগরীকে একটি স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ, বাসযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল আলম, বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপাতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, মো. মোরশেদ আলম, হাজী নুরুল হক, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুস সালাম মাসুম, মো. শফিউল ইসলাম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জেসমীন পারভিন জেসী, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নাছিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির সহসভাপতি মাহফুজুল হক চৌধুরী, মো. ইদ্রিস. সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর পারভেজ, মুজিবুর রহমান বাচ্চু ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা।

বাংলাধারা/এসআরটি

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ