ksrm-ads

১৯ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

৬ জন কর্মী দিয়ে চলছে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস—বিপাকে স্টেশন

চট্টগ্রামের জনবহুল এলাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা। যেখানে ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বসবাস করেন ৫ লক্ষাধিকেরও বেশি মানুষ। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ৯৪০ জন। এমন একটি জনবহুল এলাকার ফায়ার ষ্টেশনে ফায়ার ফাইটার রয়েছে মাত্র ৬ জন। যা একটি দুর্ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্যও পর্যাপ্ত নয়।

গত বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত রাঙ্গুনিয়ায় ১০ টিরও বেশি অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পুড়েছে শতাধিক বসতঘর ও দোকানপাট। নিহত হয়েছেন
একই পরিবারের ৫ জন। এছাড়াও আগুনে পুড়ে আঙ্গার হয় গবাদিপশু। এসব অগ্নিকান্ডের ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ৬ মাস ধরে মাত্র ৬ জন কর্মী নিয়ে চলছে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম। ফলে যেকোন সময় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বড় ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে বিপাকে পড়তে পারে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এছাড়াও ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো ঘটনা।

জরিপে দেখা গেছে, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার অগ্নিনির্বাপণে একমাত্র ভরসা পৌরসভা এলাকার রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার পাশে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। যাদের উত্তর ও দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি এলাকার অগ্নি নির্বাপণে ছুটে চলতে হয়।

সম্প্রতি ২১ জুন উত্তর রাঙ্গুনিয়া ধামাইরহাট দিঘীরপাড় এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের টিমে থাকে মাত্র ৬ জন সদস্য। এ ঘটনায় ৭টি বসতঘর ও একটি খামার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সর্বশেষ ২২ জুন রাত পৌনে ১২টার দিকে কোদালা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মৌলবি হারুনের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পর্যাপ্ত পরিমাণ ফায়ার সার্ভিসের লোকজন না আসায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপাকে পড়তে হয়েছে তাদের। এলাকাবাসী সহযোগিতা না করলে আগুন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার কথাও জানান স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সুমন বাংলাধারাকে বলেন, দীর্ঘ ৮ মাস ধরে ৬ জন ফায়ার ফাইটার নিয়ে চালাতে হচ্ছে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম। লোকবলের সংকট হওয়ায় অগ্নি-নির্বাপণে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে আমাদের। এছাড়া বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার স্টেশন বিপাকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

লোকবল সংকটের কারণ জানতে চাইলে সহকারী পরিচালক (চট্টগ্রাম) এম ডি আবদুল মালেক জানান, পুরো চট্টগ্রাম জেলায় লোকবল সংকট, যার ফলে জেলার বিভিন্ন ফায়ার স্টেশন একইভাবে ফায়ার ফাইটার সংকটে ভুগছে। রাঙ্গুনিয়া ফায়ার স্টেশনের বিষয়টি আমরা অবগত আছি। সেখানে দুইজন অন্য স্টেশনের লোক হওয়ায় তাদের আগের কর্মস্থলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে আগামীকালের মধ্যে আরও ২/১ জন যুক্ত হবে। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিংয়ের কারণে জনবল সংকট দেখা দেয়। তখন যে স্টেশনে লোকবল বেশি থাকে সেই স্টেশন থেকে সংযুক্ত করে থাকি।

তিনি আরও বলেন, পুরো চট্টগ্রামের সমস্যাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের হেডকোয়ার্টারের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা গেলে শূন্য স্থানগুলো পূরণ করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ