ksrm-ads

২১ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল নেপাল

বাংলাধারা প্রতিবেদন»

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপালে শক্তিশালী ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় রোববার সকালের দিকে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দেশটি। তবে এতে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।- খবর ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই’র।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই বলছে, রোববার সকাল ৮টা ১৩ মিনিটে রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ১৪৭ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। নেপালের জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র (এনইএমআরসি) বলছে, খোতাং জেলার মারতিম বীর্তা এলাকা কেঁপে উঠেছে।

ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছে কাঠমান্ডু থেকে ১৪৭ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণের ২৭ দশমিক ১৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬ দশমিক ৬৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের ১০ কিলোমিটার ভূগর্ভে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি অথবা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।

নেপালের সাম্প্রতিক বেশ কিছু ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পোখারা শহরের মধ্যবর্তী স্থানে রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দেশটিতে অন্তত ৮ হাজার ৯৬৪ জন নিহত এবং প্রায় ২২ হাজার মানুষ আহত হন।

‘গোর্খা ভূমিকম্প’ নামে পরিচিত এই ভূমিকম্পের আঘাতে উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি শহরও কেঁপে উঠেছিল। এর পাশাপাশি কম্পন অনুভূত হয়েছিল পাকিস্তানের লাহোরে, তিব্বতের লাসা এবং বাংলাদেশের ঢাকাতেও। সেই ভূমিকম্পের পর কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ওই ভূমিকম্পে মাউন্ট এভারেস্টে তুষারপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ২২ জনের মৃত্যু হয়। পরে একই বছরের ১২ মে বড় ধরনের আফটারশক অনুভূত হয়। এই আফটারশকের কেন্দ্রস্থল ছিল কাঠমান্ডু এবং মাউন্ট এভারেস্টের মধ্যবর্তী চীন সীমান্তের কাছের অঞ্চল। এতে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যান এবং আহত হন ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি।

আরও পড়ুন