ksrm-ads

৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ksrm-ads

৯৯৯ এ কল করে রাঙামাটিতে বাল্য বিবাহ থেকে বাঁচলো কিশোরী, আটক-৩

রাঙামাটি প্রতিনিধি »

জরুরী আইনী সহায়তা প্রাপ্তিতে সরকারের যুগান্তকারি পদক্ষেপ ৯৯৯ কানেক্টিটিভিটির সহায়তায় রাঙামাটি শহরে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে ১৬ বছরের এক কিশোরী।

টেলিবার্তার মাধ্যমে নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে সোমবার রাতে শহরের রিজার্ভ বাজারের দুই নং পাথরঘাটা এলাকায় সদর ইউএনও ও কোতয়ালী থানা পুলিশ কর্তৃপক্ষ এই বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠান বন্ধ করে বিয়ের পিড়ি থেকে বর, বরের পিতা ও কনের মামাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, সোমবার বিকেল থেকেই পাথর ঘাটা এলাকার বাসিন্দা জনৈক ব্যক্তির অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া কন্যা (১৬)র সাথে তাদের ভাড়াটিয়া দ্বীন ইসলামের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছিলো। এলাকার উঠতি বয়সী একদল সচেতন তরুন বিষয়টি জানিয়ে জরুরী সেবা প্রাপ্তির অন্যতম মাধ্যম ৯৯৯ এ কল দিয়ে জানিয়ে এই বাল্য বিয়ে ঠেকানোর অনুরোধ জানায়। মুহুর্তের মধ্যেই বিষয়টি রাঙামাটি কোতয়ালী থানাকে অবহিত করে ঢাকা থেকে এই বিয়ে বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল আলম রনি সাথে সাথেই সেকেন্ড অফিসার এসআই লিমন বোসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় বিষয়টি রাঙামাটি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে জুনায়েদ কবীর সোহাগকে অবহিত করে কোতয়ালী থানা কর্তৃপক্ষ।

খবর পাওয়ার সাথে সাথেই সোমবার রাতে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ইউএনও বর-কনে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান করার পাশাপাশি আইনের বিধি নিষেধ এর কথা বলেন।

এসময় ইউএনও বাল্য বিয়ের শিকার হতে যাওয়া মেয়েটিকে পড়ালেখা চালানোর ইচ্ছে আছে নাকি জিজ্ঞাসা করেন। জবাবে মেয়েটি তার পড়ালেখার ইচ্ছের কথা জানালে ইউএনও মেয়েটির পরিবারকে জানান, এই মেয়ের পড়ালেখার যাবতীয় খরছ প্রয়োজন অনুসারে সরকার বহন করবে। সে বিয়ের বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া যাবেনা।

সরকার এই ধরনের বিয়ে বন্ধে বদ্ধ পরিকর মন্তব্য করে ইউএনও বলেন, আপনারা যে কেউ এই ধরনের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। এসময় বর দ্বীন ইসলাম ও তার বৃদ্ধ পিতাসহ মেয়ের মামাকে আটক করার নির্দেশনা প্রদান করে মেয়ের মাকে বাল্য বিয়ের ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে সতর্ক করে দেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

এদিকে মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে, আমরা ছেলেটি অত্যন্ত ভালো মনে হওয়ায় তার সাথে আপাতত আংটি পরিয়ে আকদ্ করে রাখতে ছোট্ট একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। এই অনুষ্ঠানে কাজীকেও দাওয়াত দেওয়া হয়নি মন্তব্য করে মেয়েটির মা জানান, বর্তমানে মাদক নির্ভর সমাজে ভালো একটি ছেলে হাতে পাওয়া অত্যন্ত দুস্কর। মা হিসেবে একটি ভালো ছেলের হাতে মেয়েটিকে তুলে দেওয়ার লক্ষ্যেই অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়েছিলো।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন