ksrm-ads

১৭ মে ২০২৫

ksrm-ads

৯ দিনপর খাগড়াছড়িতে অপহৃত চবি’র ৫ শিক্ষার্থী’র মুক্তি 

অপহরণের ৯ দিন পর মুক্তি পেয়েছে খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুরা।

অপহরণকারীরা গতকাল বুধবার তাদের মুক্তি দিলেও বিষয়টি জানাজানি হয় আজ বৃহস্পতিবার। শিক্ষার্থীদের মুক্তির বিষয়টি স্বীকার করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা থেকে গণমাধ্যমেও প্রেস বিবৃতি পাঠানো হয়। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চবি শাখার তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক রিবেক চাকমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে অপহৃত চবি পিসিপি সদস্য রিশন চাকমাসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়,‘গত ১৬ এপ্রিল সকাল আনুমানিক ৬.৩০ টায় খাগড়াছড়ির সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে পিসিপি সদস্য রিশন চাকমা, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা, একই বিভাগ ও একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা এবং প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রোকে জোরপূর্বক তুলে নেয়া হয়। এই ঘটনার শুরু থেকেই ইউপিডিএফকে দায়ী করে আসছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুন ত্রিপুুরা । তবে শুরু থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইউপিডিএফ। ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা দাবি করেছেন তারা এই অপহরনের ঘটনার সাথে সম্পৃৃক্ত নয়।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, ‘যারা অপহরণের শিকার হয়েছে তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে। আমরা গতকাল থেকে বিষয়টি জানতে পারছিলাম। আজকে পিসিপি তাদের বিবৃতিতে পাঁচজনের মুক্তির বিষয়টি জানিয়েছে। ফলে এখন আমরাও বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েছি।”

মুক্তি পাওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বটতলা এলাকার মৈত্রীময় চাকমা, বরকল উপজেলার চাইল্যাতুলি এলাকার দিব্যি চাকমা, জুরাছড়ি উপজেলার জামেরছড়ি এলাকার রিশন চাকমা, বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সতীশপাড়া এলাকার অলড্রিন ত্রিপুরা এবং আলীকদম উপজেলার রেংপু পাড়া পোয়ামুহুরী এলাকার লংঙি ম্রো। এরা সকলেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে আপামর সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রগতিশীল ব্যক্তি ও ছাত্র সংগঠন সমূহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তোলে। অবশেষে ব্যাপক জনরোষের মুখে পড়ে অপহরণকারীরা কয়েক দফায় মুক্তি দিয়েছে। অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে যারা সোচ্চার ছিলেন বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছে।

গেলো ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ি থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) এক নেতাসহ পাঁচ শিক্ষার্থী এবং আরও একজন অপহৃত হন। অপহরণের পর থেকেই তাদের সন্ধানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছিল প্রশাসন।

এই ঘটনায় ইউপিডিএফকে (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) দায়ী করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন জেএসএস। তবে ইউপিডিএফ এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে।

উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য এখনও জানানো হয়নি। তবে এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এএস/বাংলাধারা

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ