বাংলাধারা ডেস্ক »
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধে টানা আট দিন তৈরি পোশাক শিল্প বন্ধ থাকবে। এতে ব্যবসা হারানোর শঙ্কায় অনেক গার্মেন্টস মালিক।
পোশাক শিল্প বন্ধ থাকলে ব্যবসা হারানোর শঙ্কায় থাকা মালিকরা বলেছেন, ‘এরকম হলে মারাত্মক সঙ্কট তৈরি হবে।’
এ পরিস্থিতিতে পোশাক শিল্প মালিকদের কাছ থেকে কন্ট্রিবিউটরি ফান্ড নিয়ে হলেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পোশাক শ্রমিকদের কোভিড- ১৯ ভ্যাকসিন (টিকা) দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি গওহর সিরাজ জামিল।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ফোর এইচ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিকেএমইএর এই নেতা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ঈদুল আযহার পর আটদিন শিল্প কারখানা বন্ধ থাকলে ক্রয়াদেশ মেনে লিডটাইম অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে পারবে না কারখানাগুলি। তখন ক্রেতারা ক্রয় আদেশ বাতিল করবে বা মূল্য কমিয়ে দিতে পারে।
এসময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বায়ারদের কাছ থেকে এমন বক্তব্য পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় পোষাক শিল্প যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু রাখা যায় তার ব্যবস্থা গ্রহনে শিল্প মালিকদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে (কন্ট্রবিউটরি ফান্ডে চাঁদা নিয়ে) পোশাক শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে ১০০০ হাজার পোশাক কারখানা আনুপাতিক হারে চাঁদা দিয়ে এই শিল্পের কয়েক লাখ শ্রমিকের টিকা প্রদানের তহবিল যোগানে সন্মত হবে।
অর্থনৈতিক ফ্রন্টলাইনার হিসেবে পোশাক শ্রমিকদের বিষয়টি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাবটি বাণিজ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর মাধ্যমে সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান গওহর সিরাজ জামিল।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













