৯ নভেম্বর ২০২৫

‘অঘটন-চমকে’ ভরপুর কাতার বিশ্বকাপ, শেষ হাসি হাসবে কে?

আরাফাত কাদের  »

মরুর বুকে অবিস্মরনীয় একটি বিশ্বকাপ উপহার দিয়েছে কাতার। গেল ২০ নভেম্বর কাতার ইকুয়েডরের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়ায় বিশ্বকাপ। শুরুর পর থেকে গেল ২৫ দিনে ৬২ ম্যাচের রোমাঞ্চ উপভোগ করেছে ফুটবল বিশ্ব। গ্রুপ পর্ব থেকে তারকা নির্ভর জার্মান আর বেলজিয়ামের বিদায়, কোয়াটার ফাইনালে দুই সুপারস্টার নেইমার আর রোনালদোর বাদ পড়ার ঘটনা—সবকিছু ছাপিয়ে  মরক্কোর নতুন ইতিহাস রচনা। কেমন ছিল এবারের কাতার বিশ্বকাপ?

সেমিফাইনাল পর্যন্ত আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার মেসি এবং বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে—দুজনেই করেছেন ৫টি করে গোল। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ ট্রফির ছোঁয়া পেতে যেমন মরিয়া স্ক্যালোনির শিষ্যরা, তেমনি ফাইনালে উঠে শিরোপা ধরে রাখতে চায় বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।

তবে, একদম শুরু থেকেই চমকে ভরপুর ছিল কাতার বিশ্বকাপ।  কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে বিশ্বকাপ মঞ্চের  উদ্বোধন, আর স্বাগতিক হয়ে প্রথম ম্যাচে হারের রেকর্ড যেন তারই উদাহরণ।

বিশ্বকাপের আগের যত অঘটন, সেসব যেন ছাপিয়ে গেছে এবারের কাতার বিশ্বকাপে। সৌদি আরবের বিপক্ষে মেসিদের হার, জার্মানির বিপক্ষে জাপানের জয়, ক্যামেরুনের কাছে ব্রাজিলের হার, তিউনিসিয়ার কাছে ফ্রান্সের পরাজয়, ম্যাচ জিতেও উরুগুয়ের বিদায়। কোনটি  বেশ রোমাঞ্চকর? সেটি পাঠকদের বিবেচনায়।

শেষ ১৬-তে বিশ্বকাপে  চমক দেয়  আফ্রিকান ন্যাশন্স মরক্কো, টিকিটাকার জনক ২০১০ বিশ্ব আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারিয়ে দেয় হাকিমি জিয়েছরা। গোল উৎসব করে শেষ আটে ব্রাজিল, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড আর পতুর্গাল।

কে জানতো, বিশ্বকাপের সবচেয়ে  বড় চমক অপেক্ষা করছে শেষ আটে। দুই নক্ষত্রের বিদায় যে এই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই। মরক্কোর কাছে হারের পর সিআর সেভেন’র অশ্রুসিক্ত মাঠ ছাড়ার দৃশ্য হৃদয় ছুয়েছে কোটি ভক্তের। অন্যদিকে ক্রোয়োশিয়ার কাছে ট্রাইবেকারে  হেরে ‘হেক্সা মিশন’ শেষ হয় নেইমারদের।

সেমিতে এল এম টেন আর মরক্কোর বিপক্ষে এমবাপ্পের নৈপুণ্যে ফাইনালে পৌঁছায় আর্জেন্টিনা আর ফ্রান্স।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আর অঘটনের পাশাপাশি রেফারিংয়েও ছিল চমক। আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডের এক ম্যাচে ১৯টি হলুদ কার্ড দেখানোর রেকর্ড করে স্প্যানিশ রেফারী আন্তোনিও মিগেল মাতেউ লাহোস। প্রথমবারের মত কোস্টারিকা জামার্নির ম্যাচে  তিন নারী রেফারী দায়িত্ব পালন করে চমক দেখায় বিশ্বকাপে।

স্বপ্নের ফাইনালের আগ পর্যন্ত  গোল লাইন অতিক্রম করে ১৫৮ বার জাল ছুঁয়েছে বল। ২০৯টি হলুদ  কার্ড আর  ৪টি লাল কার্ড দেখিয়েছে রেফারি।

কি ছিলনা কাতার বিশ্বকাপে? গ্রুপ পর্বে অঘটন, রাউন্ড সিক্সটিনে চমক, শেষ আটে টান-টান উত্তেজনার ম্যাচ আর সেমিতে একক আধিপত্য। নিঃসন্দেহে বলা চলে শুরু থেকেই শেষ অব্দি চমকেই ভরপুর ছিল কাতার বিশ্বকাপ।

বাংলাধারা/একে/আরএইচআর

আরও পড়ুন