৩০ অক্টোবর ২০২৫

‘অদৃশ্য’ প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করতে চান নওফেল

‘এ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করবো, এ আসনের জনগণ, বাংলাদেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আছে, অদৃশ্য প্রতিদ্বন্দ্বী। এই অদৃশ্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে আমরা পরাজিত করতে চাই।’

সোমবার বিকালে নগরীর জেল রোডে প্রখ্যাত সুফীসাধক আমানত শাহ’র মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন। জিয়ারত শেষে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুলী নওফেল এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উপ দফতর সম্পাদক জহরলাল হাজারী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরসহ নেতাকর্মীরা।

নওফেল বলেন, ‘আমার পিতৃতুল্য নেতৃবৃন্দ এখানে আছেন। আমি একক কোনো প্রার্থী নই, আমরা সবাই এখানে প্রার্থী। এ আসনে সাতজন প্রার্থী আছেন। সুতরাং নির্ভার বলা যাবে না।’

এরপর মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বদর শাহ মাজার সংলগ্ন আশপাশের এলাকা ও বকশিরহাট বাজারে বিভিন্ন দোকানে ঘুরে ঘুরে ভোট প্রার্থনা করেন।

এর আগে বেলা ১২টায় নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নৌকা প্রতীক বুঝে নেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সেখান থেকে বেরিয়ে দুপুর ১টার দিকে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নগরীর কে সি দে রোডে তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন।

নগরীর কোতোয়ালী, বাকলিয়া, চকবাজার এলাকা নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৯ আসনে এবার দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন প্রয়াত রাজনীতিক এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ২০১৮ সালে প্রথম দফায় নির্বাচিত হওয়ার পর তরুণ নেতা নওফেল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

উল্লেখ্য, এ আসনে আরও ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- জাতীয় পার্টির সানজিদ রশিদ চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. ওয়াহেদ মুরাদ, ন্যাপের মিটল দাশগুপ্ত, ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম, কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ নূরুল হোসাইন এবং তৃণমূল বিএনপির সুজিত সাহা।

আরও পড়ুন