চট্টগ্রাম নগরীর অনন্যা আবাসিকে শাওন বড়ুয়া নামে এক ফটোগ্রাফার খুনের ঘটনায় ৫ জনকে আটক করে চাদগাঁও থানা পুলিশ। খুনের পর ফেলে যাওয়া মোবাইলফোনের সূত্র ধরে খুনের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর) পঙ্কজ দত্ত।
তিনি জানান, সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আটককৃতরা শাওনকে হত্যা করে ক্যামেরা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শাওনের ব্যবহৃত মুঠোফোনটি ফেলে গেলে সেই মুঠোফোন দিয়ে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তারা জানান, বিকেলে আটককৃতরা বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে শাওনকে বেপারি পাড়ার ভাঙা পুলের মাথায় আসতে বলেন। সেখানে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে ইমন, তৌহিদ ও চালক আলমগীর অপেক্ষায় থাকেন। মুরাদ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাহির সিগন্যাল ম্যাফ সুজ গার্মেন্টসের সামনে থেকে শাওন বড়ুয়াকে রিসিভ করে নিয়ে যায়। ঘটনাক্রমে অপেক্ষায় থাকা সিএনজি অটোরিকশার দিকে না গিয়ে অন্যদিকে চলে যায় মুরাদ। পরে বিষয়টি শাওন আঁচ করতে পারলে মোটরসাইকেলের মধ্যে দুজনের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মুরাদ শাওনের উরুতে ছুরিকাঘাত করে। পরে শাউন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সে সুযোগে মুরাদ একের পর এক শাওনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৭টি ছুরিকাঘাত করেন। পরে মুরাদ বিষয়টি বাহারকে জানিয়ে দিয়ে বলে, ভাই আমি শাওনে মেরে ফেলেছি। তখন বাহার এসে ক্যামেরাসহ মুরাদকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, নগরের চাদগাঁও থানাধীন বাহির সিগন্যাল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ইমন ও তৌহিদ। অন্যজনের হয়ে তারা বিভিন্ন বিয়ে অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফির কাজ করতেন। পরে তাদের একটি ডিজিটাল ক্যামেরার শখ জাগে। বিষয়টি তারা এলাকার বড় ভাই বাহারকে জানায়। বাহারসহ মিলে তারা ক্যামেরা ছিনতাইয়ের ফন্দি আঁটেন। সেখানে তারা যুক্ত করে সিএনজি অটোরিকশা চালক আলমগীর ও মুরাদকে। তারা প্রথমে কয়েকটি ফেসবুক পেইজে বিয়ে বাড়িতে ফটোসেশান করার জন্য যোগাযোগ করেন। অনেকেই তাদের সাড়া দেয়নি। একপর্যায়ে জনি বড়ুয়া নামে এক ফটোগ্রাফার সাড়া দেন। তিনি শাউন বড়ুয়ার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন।













