২৮ অক্টোবর ২০২৫

অনিরাপদ নৌযাত্রা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আরো কাজ করবে জাতিসংঘ

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

কক্সবাজারে অনিয়মিত ও অনিরাপদ নৌযাত্রা নতুন কোনো ঘটনা নয় জানিয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এক প্রেস বার্তায় বলেছে, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশি জনগণ উভয়েই বিভিন্ন পরিস্থিতির শিকার হয়ে সাগরপথে এই অনিরাপদ ঝুঁকি নিয়ে থাকেন। সাগরপথে অনিরাপদ ভ্রমণের কথা বিবেচনা করে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকার উভয় জনগোষ্ঠীর সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে আসছে। মঙ্গলবার ভোররাতে সেন্টমার্টিন সাগরে সংগঠিত ট্রলার ডুবিতে ১৫ রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় আইওএম, ইউএনএইচসিআর এবং জাতিসংঘের সকল সংস্থা ও অন্যান্য এনজিও গভীরভাবে দুঃখিত।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দেয়া প্রেস বার্তায় আরও জানানো হয়, কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে ফিশিং ট্রলার দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পাশে থাকবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। উদ্ধারকৃতদের খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা বা যেকোনো সহায়তায় এগিয়ে আসতে প্রস্তুত রয়েছে।

তারা আরো জানায়, আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছি যেন পাচার রোধ করা যায় ও এর ঝুঁকিতে মানুষকে এর হাত থেকে রক্ষা করা যায়। মানবপাচার থেকে উদ্ধারকৃতদের জন্য কক্সবাজার জেলায় বিভিন্ন সহায়তার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে শতাধিক রোহিঙ্গা নিয়ে টেকনাফের নোয়াখালীপাড়া সাগর তীর দিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে দুটি ফিশিং ট্রলার। এরপর মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে সেন্টমার্টিন উপকূলে গিয়ে একটি ট্রলার ডুবে যায়। পরে কোস্টগার্ড ১৫ রোহিঙ্গার মরদেহ (১২ নারী ও তিন শিশু) উদ্ধার করে। জীবিত উদ্ধার করা হয় ৭১ জনকে। যাদের মাঝে ২৪ পুরুষ, ৪৪ নারী ও তিন শিশু রয়েছে। উদ্ধারদের তথ্যমতে, আরো প্রায় ৫২জন নিখোঁজ রয়েছে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন