২৮ অক্টোবর ২০২৫

অপরিকল্পিত স্থাপনার চাপ সইতে পারছে না সেন্টমার্টিন

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেছেন, পর্যটনের জন্য কক্সবাজার অন্যতম একটি স্থান, এটিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা আমাদের সবার দায়িত্ব। তবে-একের পর এক অপরিকল্পিত স্থাপনার চাপ সইতে পারছে না দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। এত নিষেধাজ্ঞার পরও সেন্টমার্টিনে এভাবে পাকা ভবন তৈরী কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। যে হারে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে তা পর্যটনের সঙ্গে যায় না। এগুলো বন্ধ করার জন্য কাজ চলছে।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সৈকতের লাবণী পয়েন্টে কক্সবাজারে চলমান পর্যটন মেলায় প্যানেল ডিসকাশন ‘সেন্টমার্টিনে ইকো ট্যুরিজম : চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পর্যটনসচিব এসব কথা বলেন।

সচিব আরো বলেন, সব কিছু বিবেচনায় রেখে আপাতত টেকনাফ ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কখন নাগাদ টেকনাফ ঘাট থেকে জাহাজ ছাড়বে তা জানানো হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজের সঞ্চালনায় সেমিনারে পর্যটন সচিব মোকাম্মেল আরো বলেন, পর্যটননগরী কক্সবাজারকে নান্দনিকভাবে সাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা- নিশ্চিত থাকতে পারেন, তিনি কারো ক্ষতি করে উন্নয়ন করবেন না। সব কিছু ইতিবাচক হলে তিনি উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেবেন।

সচিব বলেন, পর্যটন খাতকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে প্রতিবছর পর্যটন মেলা করার ভাবনা আছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ ধরনের মেলা বছরে দুইবারও করতে পারব আমরা। পর্যটনের জন্য কক্সবাজার অন্যতম একটি স্থান, এটিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা আমাদের সবার দায়িত্ব।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুকেশ কুমার সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট আবু মোরশেদ চৌধুরী প্রমুখ।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে চলছে সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল। চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি আয়োজিত মেলার শুক্রবার ছিল চতুর্থ দিন। মেলায় দিনে লোকসমাগম উল্লেখযোগ্য সংখ্যক না থাকলেও প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগে পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়রা লাবণী পয়েন্টে তৈরী মঞ্চ এলাকায় ভিড় করে। সন্ধ্যার পর স্থানীয় ও জাতীয় শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় আগত পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে। তবে, দু’শতাধিক স্টলে ঝঁমকালো আয়োজন হলেও অধিকাংশ স্টল খালিই থাকছে।

সপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় শুক্র ও শনিবার দুই দিন পর্যটকের চাপ বেড়েছে কক্সবাজারে। কিন্তু মেলা উপলক্ষ্যে ঘোষণা দেয়া আবাসন ও খাবার হোটেলের ছাড় নিয়ে প্রতারণা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পর্যটকরা।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতেই আমাদের এ পর্যটন মেলা। এখন থেকে প্রতিবছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের দিন থেকে সপ্তাহব্যাপী এ মেলা নিয়মিত করার উদ্যোগ চলছে।

আরও পড়ুন