সায়ীদ আলমগীর, কক্সবাজার »
অবশেষে টেকনাফ থেকে পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন গেলো পর্যটকবাহী জাহাজ। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টা টেকনাফ দমদমিয়া জেটিঘাট হতে ছয় শতাধিক যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে প্রথম ঘাট ত্যাগ করেছে এমভি পারিজাত ও রাজহংস। এমনটি জানিয়েছেন জাহাজটির পরিচালক তোফায়েল আহমেদ।
নানা জটিলতা কাটিয়ে মৌসুমের তিন মাসের মাথায় শুক্রবার সকাল হতে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট হতে সেন্টমার্টিনে যাত্রা হয়েছে এমভি পারিজাত ও এমভি রাজহংস নামে দুটি জাহাজ। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রশাসনের সকল সেক্টর ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতে শুক্রবার হতে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান।
সী-ক্রোজ অপারেটর অনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কায়াব) সভাপতি তোফায়েল আহমদ জানান, নানা প্রচেষ্টার পর বৃহস্পতিবার বৈঠকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়। একরাতের প্রচেষ্টায় দুই জাহাজে ৬শ’ যাত্রী নিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় আগে পিছে করে জাহাজ দুটি দমদমিয়া ঘাট ত্যাগ করে। তিনমাস পর হলেও টেকনাফ ঘাট দিয়ে জাহাজ চলাচল শুরুর অনুমতি দেয়ায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
কক্সবাজার ট্যুরস অপারেটর এসোসিয়েশন (টুয়াক) সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মনিবুর রহমান টিটু জানান, নাফনদীর নাব্যতা-সংকট ও নদীতে একাধিক বালুচর জেগে ওঠার অজুহাতে এবারের পর্যটন মৌসুমের শুরু হতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। প্রশাসনের দপ্তরে দপ্তরে নানা ভাবে যোগাযোগ করেও জাহাজ চলাচলের অনুমতি মিলছিল না। ১২ জানুয়ারির সিদ্ধান্তে আবার জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় দ্বীপে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপ) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, প্রবালদ্বীপের ৯০ শতাংশ মানুষ পর্যটন মৌসুমের ছয়মাসের ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু মৌসুমের তিনমাসেও টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ না আসায় দ্বীপে পর্যাপ্ত পর্যটক আসেনি। ফলে, এখানকার জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছিল। শুক্রবার হতে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। এতে দ্বীপবাসী আনন্দিত।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল শুরুর পর দমদমিয়া জেটিঘাটে আবারো কর্মব্যস্ততা বেড়েছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও লোকাল লোকজনের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে বলে আশা করছি। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টায় শুক্রবার সকাল হতে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকলের হতাশা কেটে যাবে।