বাংলাধারা প্রতিবেদন »
করোনাভাইরাসের মধ্যে মৃত্যুঝুঁকি মাথায় নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ঢাকায় একজন সাংবাদিক করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এখনো পর্যন্ত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব কর্মীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশের ব্যবস্থা না করে তাদের জীবনকে অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দিচ্ছে। অবিলম্বে নবম ওয়েজবোর্ড নিয়ে জটিলতা নিরসন, গণমাধ্যমকর্মীদের অধিকার, সুরক্ষা ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি আগামী ঈদের আগে উৎসব বোনাস ও মে মাসের বেতনসহ সকল বকেয়া পরিশোধের দাবি জানান চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) নেতারা।
মহান মে দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের গৌরবময় দিন পহেলা মে। এবার এমন এক সময়ে মহান মে দিবস এসেছে, যখন মরণঘাতী ভাইরাস কোভিড-১৯ এর ভয়াল থাবায় পর্যুদস্ত সারা বিশ্ব। নিজেদের জীবন রক্ষায় দেশের মানুষকে ঘরে অবস্থানের নির্দেশনা দিয়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
নেতারা বলেন, কোন কোন প্রতিষ্ঠান করোনার এই মহাদুর্যোগেও কর্মরত সাংবাদিক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা যথাসময়ে পরিশোধ করছে না। উল্টো তাদের ওপর নানা ধরনের মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক’।
নেতারা আরও বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে নবম মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণা করা হলেও নানা অসঙ্গতি ও জটিলতার কারণে এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে সংবাদকর্মীরা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ জটিলতার দ্রুত নিরসন হওয়া প্রয়োজন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম
