২৩ অক্টোবর ২০২৫

অবৈধ পথে কোরবানি পশু প্রবেশে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা

পবিত্র ঈদুল আজহায় এবার অবৈধ পথে কোনোভাবেই গবাদিপশু প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

রোববার(৪ মে) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। আসন্ন ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহন নিশ্চিতকল্পে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মন্ত্রণালয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে এই মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি । যার মধ্যে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়া ও ৫ হাজার ৫১২টি অন্যান্য প্রজাতির প্রাণীর প্রাপ্যতা রয়েছে।

দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি গবাদিপশু থাকায় এ বছর কোরবানি ঈদের জন্য পশু আমদানি করা হবে না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, অবৈধ পথে কোনোভাবেই গবাদিপশু প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

কোরবানির প্রাণী সরবরাহের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনে করে প্রাণী সরবরাহ করা হবে। রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় ১৯টি পশুর হাটে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে ২০টি ভেটেরিনারি মেডিকেল দল ও ২টি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল দল নিয়োজিত থাকবে।

কোরবানির ঈদে বাজার যেন কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে, সে জন্য সবার সহযোগিতা চেয়ে ফরিদা আখতার বলেন, চাঁদাবাজির কারণে পশুর দাম যেন না বাড়ে, সে জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ব্যাপক পরিশ্রম, সংগ্রাম আর অদম্য ইচ্ছার জোরে বাংলাদেশ আজ নিজস্ব উৎপাদন সক্ষমতা দিয়ে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে। এই সংগ্রামকে উদযাপন করার মতো কিছু খুশির মুহূর্ত নিয়ে আসে, যখন জানতে পারা যায় যে কোরবানির ঈদে গবাদি পশুর সংকট হতে চলেছে না। দেশজ উৎপাদনই এবার সবার চাহিদা পূরণ করবে। এটা একদিকে খামারিদের জন্য যেমন বিপুল গর্বের, অন্যদিকে অর্থনীতির জন্য সুসংবাদও বটে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানান, কোরবানির পশুর জন্য আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই এবং দেশের খামারিরাই যথেষ্ট পরিমাণ পশু সরবরাহ করতে সক্ষম।

এএম/এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন