১ নভেম্বর ২০২৫

অভিভাবকহীন পটিয়ার ১৫ যাত্রী ছাউনী বেদখলে, চুপ প্রশাসন!

গিয়াস উদ্দিন  »

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় বাস যাত্রীদের জন্য নির্মিত সবগুলো যাত্রী ছাউনি বেদখলে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। এতে গড়ে তোলা হয়েছে সিএনজি অটোরিকশার গ্যারেজ, চায়ের দোকান, ভ্রাম্যমান বাজারসহ নানা অবৈধ স্থাপনা।

উপজেলার খরনা ইউনিয়ন থেকে শিকলবাহ ইউনিয়নের ভেল্লা পাড়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নির্মিত প্রায় ১৫টিরও অধিক যাত্রী ছাউনি এভাবে দখল করেছে প্রভাবশালীরা। ফলে রোদ, বৃষ্টিতে যেমন যাত্রীদের বিশ্রামে ওখানে ঠাই হচ্ছে না, তেমনি মহিলা যাত্রীরা নানা বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বেদখলে যাওয়া যাত্রী ছাউনিগুলো মাদকসেবী ও সন্ত্রাসী এবংছিনতাইকারীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), উপজেলা প্রশাসন, পৌর মেয়র এবং হাইওয়ে পুলিশের মাথা ব্যথা নেই। ফলে যাত্রী ছাউনি নিয়ে রাম রাজত্ব চলছে দখলদারদের।

জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া অংশের নয়াহাট থেকে কমলমুন্সির হাট পর্যন্ত যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে ২০০৩ সালে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গাজী শাহজাহান জুয়েলের সুপারিশক্রমে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের বরাদ্দে চারটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে। তৎমধ্যে কমলমুন্সির হাট, পটিয়া সরকারি কলেজ, আমজুর হাট ও নয়াহাট যাত্রী ছাউনি।

এছাড়া বর্তমান স্থানীয় এমপি হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর সুপারিশক্রমে মহাসড়কের যাত্রীদের জন্য জেলা পরিষদের বরাদ্দ থেকে কুসুপুরা ইউনিয়নের হরিণখাইন, পাঁচুরিয়ার টেক, মনসার টেক ও পটিয়ার পুরনো বাসস্টেশন এলাকায়সহ চারটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে পুরনো বাসস্টেশনের যাত্রী ছাউনিটি পৌরসভার ড্রেন নির্মাণ করতে গিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। অস্থিত্বই নেই বললেই চলে।

সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পটিয়া উপজেলাতে যে যাত্রী ছাউনি রয়েছে সেগুলোতে প্রায় সব গুলোতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তৎমধ্যে উপজেলা মনসারটেক এলাকার যাত্রী ছাউনিটিতে দেখা যায় সিএনজি গ্যারেজ গড়ে উঠেছে। ভুক্তভোগী যাত্রীরা দখল হয়ে যাওয়া যাত্রী ছাউনিগুলো উদ্ধার করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে প্রসাশনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

কমলমুন্সির হাটের ব্যবসায়ী হাসান জানান, খরনা ও কচুয়াই ইউনিয়নের লোকজনের জন্য হাইওয়ে সড়কে যাত্রী ছাউনিটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে যাত্রী ছাউনিটি পাশে একটি চায়ের দোকান থাকায় চা দোকানির কাষ্টমার চা খেয়ে ওই যাত্রী ছাউনিটিতে গল্প আলাপ করে দখল হয়ে আছে। দিনের বেলা ছাড়া রাতেও খোলা থাকে দোকানগুলো। রাতের বেলায় সেখানে ইয়াবাসেবী, ছিনতাইকারী বসে চা-পানের নামে আড্ডা দেয়। ফলে পুলিশ দোকানগুলোতে অভিযান চালাতে পারে না।

এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, যাত্রী ছাউনী দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমি জানিনা। যদি দখল হয়ে থাকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ