২৮ অক্টোবর ২০২৫

অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন খাগড়াছড়ির ৪৯ পরিবার

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি »

খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে মুজিববর্ষে হতদরিদ্র দুস্হ প্রতিবন্ধী, স্বামীহারা বিধবা নারীসহ ভূমিহীন ৪৯ পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বপ্নের ঠিকানা।

খাগড়াছড়ি জেলাপ্রশাসনের সার্বিক তদারকিতে গুইমারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নে ৪৯ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছ।

গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের দুর্গম এলাকায় হতদরিদ্র দুস্হ প্রতিবন্ধী বিধবা নারীসহ অসহায় মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পৌঁছে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের দুর্গম এলাকায় বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির তত্বাবধানে ঘরগুলো অত্যন্ত মানসম্মতভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

উপকারভোগী হাফছড়ি ইউনিয়নের দুর্গম বটতলী পাড়ার মিশুপ্রু মারমা বলেন, আমার স্বামী নেই আমি পরের জায়গায় দিনমজুরী করে অনেক কষ্টে সংসার চালাতে হয়। আমার সংসারে উপার্জন করার মত কেউ নেই। এসময় অশ্রুসিক্ত নয়নে সরকারি ঘর পেয়ে তিনি খুবই আনন্দিত। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

উপকারভোগী প্রতিবন্ধী হাফছড়ি ইউনিয়নের পচেকে মারমা জানান, ‘আমি সারাজীবনের চেষ্টায়ও যে মাথা গোজার ঠাঁই করতে পারিনি। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষা করে খাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ঘর দিয়েছে, আমার জীবনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’ স্বপ্নের সেই বসত ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভুলেননি প্রতিবন্ধী পচেকে মারমা।

হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী বলেন, ‘সামনে আমার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কিছু লোক আমার পিছনে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে কিছু স্বার্থন্বেষী মহল অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাফছড়ি ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ৪৯ টি বরাদ্দ দেয়া হয়। ২৭ট ঘরেরর চাবি গৃহহীনদের মাঝে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ২২ টি ঘরের কাজ চলমান। খুব দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে গৃহহীনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’

গুইমারা উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজ কুমার শীল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলি সচ্চভাবে করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ করেছেন। তদারকি কর্মকর্তাদের যাচাই-বাচাই করে হতদরিদ্র, দুস্হ, প্রতিবন্ধি, বিধবাদের অগ্রধিকার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে হাফছড়ি ইউনিয়নে ৪৯ টি ঘরের মধ্যে ২৭টি ঘর গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘরে চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ২২ ঘরের কাজ চলমান।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন