রানিং স্টাফের পর এবার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে রেলওয়েতে কর্মরত অস্থায়ী (টিএলআর) শ্রমিকরা। ২৮ আগস্টের মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণে কোন পদক্ষেপ না নিলে আগামীকাল থেকে সারা দেশে একযোগে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেয় তারা।
এদিকে অস্থায়ী শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়ে শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন সমায়িকভাবে স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় রেল কর্তৃপক্ষ।
গত ১৬ জুলাই রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী টিএলআর খাতে ৬ মাসের বাজেট বরাদ্দ দিয়ে অব্যাহতি প্রাপ্ত শ্রমিকদের দ্রুত পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নিলেও অর্থ মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে বাজেট ও পুনর্বহালের কোন চিঠি প্রেরণ করা হয়নি। যদিও গত ১০ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেলসচিবের মাধ্যমে আউটসোর্সিং সেবা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রেখেছেন।
শ্রমিকরা বলেন, গত ৩ মাস বেতন ও চাকুরী নেই। ২৮ আগস্টের মধ্যে অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিকদের চাকরী স্থায়ীকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও ৬ মাসের বাজেট বরাদ্দসহ বিগত দিনে অব্যাহতি প্রাপ্ত সকল শ্রমিকদের পুনর্বহাল না করা হলে সকল অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিকেরা আগামীকাল দুই ঘন্টার (সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা) কর্মবিরতি পালন করবেন। এতে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন হলে সে দায় কোন শ্রমিক নিবে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিএলআর (অস্থায়ী) ঐক্য ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা সরকারি গেজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে চাকুরী স্থায়ীকরণ চাই। আমরা ট্রেন বন্ধ করবনা, আমরা কর্মবিরতি পালন করব। রেল কাকে দিয়ে চালাবে সেটা প্রশাসনের ব্যাপার।
এ-ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোঃ আবিদুর রহমানের কথা হলে তিনি বলেন, আপাতত এমন কোনো আন্দোলন বা কর্মবিরতি হবে না।
টিএলআর ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, দাবি পূরণ না হলে ২৯ আগস্ট আমরা অবশ্যই কর্মবিরতিতে যাব।
কর্মবিরতির ফলে কি কি সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে সেই প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হোসেন বলেন, এর ফলে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বিঘ্ন হতে পারে। তবে এর দায়ভার সম্পূর্ণ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের, আমরা কোন দায়ভার নিব না।













