চট্টগ্রাম আদালতের জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার সাথে ‘জড়িত থাকার স্বীকার করে’ প্রধান আসামি চন্দন দাস। আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে জবানবন্দি দেন চন্দন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জবানবন্দিতে চন্দন উল্লেখ করেছেন তিনি সিটি করপোরেশনের একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। মুরাদপুর এলাকায় কাজ করেন। থাকেন আদালত ভবনের বিপরীত পাশে হরিজন পাড়ায়। নভেম্বর মাসের ২৬ তারিখ বেতন পান তিনি। সেদিন বেতন তুলতে ও কাজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দুপুর ২টার দিকে সেবক কলোনীর বাসা থেকে বের হন।
বাসা থেকে বের হয়ে মহল্লার পানের দোকানে পান খান তিনি। সেখানে এক ঘণ্টা গল্প করে বেতন তুলতে জুবিলী রোড তিন পোলের মাথায় ট্রাস্ট ব্যাংকে যাওয়ার জন্য দোকান থেকে বের হন। তখন তিনি দেখেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের জামিন নিয়ে পুলিশ ও মানুষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে।
ওই সময় তারাও পাথর ছুড়েন। একপর্যায়ে চন্দন পাড়ায় ঢুকেন। কিছুক্ষণ পর ৫০-৬০ জন মানুষের একটি মিছিল ওই পাড়ায় ঢুকে পড়ে।
এ সময় তারা ২০-২৫ জন মহল্লার ভিতর কালি মন্দিরের সামনে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে মন্দিরের ভিতর থেকে পাঁচজন মিলে তিনটা কিরিচ, একটা বটি নিয়ে আসে।
তাদের একজনের নাম রিপন। অন্যরা হলেন শুভ, দুর্লভ। এ সময় ১০-১২ জন মিলে সেখানে আইনজীবী আলিফকে ধরে ফেলে। আলিফকে বটি দিয়ে ২টা কোপ দেন রিপন। শুভ দুর্লভসহ ১০-১২ জন মিলে তাকে মারতে থাকেন। একপর্যায়ে শুভ তাকে কিরিচ দেয় আর মারতে বলেন। তখন তিনি আলিফের পায়ে কিরিচ দিয়ে দুটো কোপ দেন।
এছাড়াও তার জবানবন্দিতে আরও ৯ জনের নাম এসেছে যারা লাঠি ও পাথর দিয়ে আলিফকে আঘাত করে।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে গত ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।













