বাংলাধারা প্রতিবেদন»
গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাইভেট আইসিডি-কেডিএস ডিপোতে ট্রাক লরি চালকদের ধর্মঘটের কারণে পোশাক শিল্পের রপ্তানি পণ্যবাহী প্রায় ৮০০ কন্টেইনার ছাড়াই সংশ্লিষ্ট জাহাজ বন্দর ত্যাগ করেছে।
এছাড়াও প্রায় ৩ হাজার কন্টেইনার উচ্চ আইসিডিতে আটকা পড়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের রপ্তানিতব্য চালান সমূহ ক্রেতার নির্ধারিত গাঁচ টাইমের মধ্যে জাহাজীকরণ সম্ভবপর না হওয়ার কারণে ডিসকাউন্ট, এয়ারশিপমেন্ট সহ সমুদয় রপ্তানি আদেশ বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, করোনা সংক্রমণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। বর্তমানে বিদেশী ক্রেতাগণ নতুন নতুন রপ্তানি আদেশ প্রদান করছে, যা নির্ধারিত লীড টাইমের মধ্যে জাহাজীকরণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু দেশের প্রধানতম বৈদেশিক মুদ্রা আহরণকারী তৈরী পোশাক রপ্তানি খাতকে জিম্মি করে দাবী আদায়ের অপকৌশলের কারণে রপ্তানি বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে, যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত হিসেবে বিবেচ্য।
তিনি আরো বলেন, ধর্মাটের কারণে প্রায় ৮০০ কন্টেইনার জাহাজীকরণ করা সম্ভব হয়নি, যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যানিকারক প্রতিষ্ঠান সমূহ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং বিদেশী ক্রেতাদের নিকট বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। পোশাক শিল্পের আমদানী-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কাষ্টম, বন্দর, প্রাইভেট আইসিডি সহ সংশ্লিষ্ট খাতকে “অত্যাবশ্যকীয় সেবা” হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা। যাতে বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক ধর্মঘটের মাধ্যমে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম ব্যাহত করার অপচেষ্টা বন্ধ করা যায়। এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিী কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস













