বাংলাধারা প্রতিবেদক »
খেলার মাঠে কোনও মেলা হবে না। চট্টগ্রামের মাঠগুলো উদ্ধার করা হবে। তৈরি করা হবে নতুন মাঠ। চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুরে আমাদের যে জায়গা রয়েছে সেখানেই সব মেলার আয়োজন করা হবে।- গত ২ মার্চ এ ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় সেই দৃষ্টান্তই দেখালেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে আধাঁরে চট্টগ্রাম নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়ামে ‘লিডিং ই-কমার্স সোসাইটি, চট্টগ্রাম নামে একটি প্রতিষ্ঠান মেলার আয়োজন শুরু করে। পরে খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম, সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার ভুমি মো. রাজিব হোসেন।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মেলা বন্ধ করে দেন তারা। খুলে ফেলা হয় বাঁশ, ব্যানার ও তাবু।
জেলা প্রশাসন জানায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিদ্ধান্ত হয় আউটার স্টেডিয়ামে কোনো মেলা হবে না। এই জায়গা সংরক্ষিত থাকবে বাচ্চাদের খেলার জন্য। ২ মার্চ চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি এবং জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান গণমাধ্যমে ঘোষণা দেন, চট্টগ্রামের মানুষের ক্রীড়া ও বিনোদনের জায়গা হিসেবে আউটার স্টেডিয়ামকে একটি দৃষ্টিনন্দন মাঠে রূপান্তর করা হবে। এরপরও আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল থেকে সেখানে দোকানপাট বসাতে শুরু করে লিডিং ই কমার্স সোসাইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
মেলার আয়োজক ই-কমার্স সোসাইটির কর্মকর্তারা জানান, তারা গত জানুয়ারি মাসে অনুমতি নিয়েছিল, সিজেকেএস’কে জায়গা ব্যবহারের জন্য অগ্রিম ভাড়াও দিয়েছিল।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসক পদাধিকার বলে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি। তার ঘোষণার পর এখানে আর কোন মেলার আয়োজন করা যাবে না। লিডিং ই কমার্স সোসাইটি যে পরিমাণ টাকা ভাড়া হিসেবে জমা দিয়েছিল, তা তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের মেলাসহ সকল প্রকার মেলা আয়োজনের জন্য আমরা শহরের অদূরে একটি জায়গা ঠিক করেছি। সেখানে সব মেলা আয়োজনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
