আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইনের আওতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (১০ মে) রাত ৮টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠক শেষে রাত ১১টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে, যার ফলে ট্রাইব্যুনাল এখন কোনো রাজনৈতিক দল বা তার অঙ্গসংগঠনকে শাস্তির আওতায় আনতে পারবে।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, সাইবার কার্যক্রম, ও জনসম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন শিগগিরই জারি করা হবে এবং ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে।
এর আগে, গত বছরের ২৩ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়। হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, টেন্ডারবাজি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক যুগান্তকারী মোড়, যা আগামী দিনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
এআরই/বাংলাধারা