বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত না হলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে দেখা দেবে আইনী জটিলতা। অন্যথায় নতুন করে তফসিল ঘোষণা দিতে হবে কিংবা জাতীয় সংসদে বিল এনে পাশ করাতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
মহামারি করোনাভাইরাসে যেমন আতঙ্ক বিরাজ করছে বিশ্বজুড়ে তেমনি স্তব্ধ সবকিছু । কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না এই ভাইরাসকে। এই করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ২১ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এতে আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে আইনী জটিলতা দেখা দেবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে, যেহেতু ৮ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনী বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, হয়তো নতুন করে তফসিল ঘোষণা দিতে হবে, না হয় জাতীয় সংসদে বিল এনে পাশ করে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে।
এদিকে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ এর ৩৮ (১) এর ‘ক’ ধারা অনুযায়ী করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে এবং ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী করপোরেশন গঠন হওয়ার পর প্রথম সভা থেকে ৫ বছর হবে। বর্তমান করপোরেশনের প্রথম বৈঠক যেহেতু ২০১৫ সালের ৮ আগস্টে অনুষ্ঠিত হয়েছেল সেই হিসাবে আগামী ৮ আগস্ট করপোরেশনের ৫ বছর পূর্ণ হবে।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন আইনের ‘খ’ ধারা অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ‘গ’ ধরায় অনুযায়ী কোনো সিটি করপোরেশনের মেয়াদোত্তীর্ণের ক্ষেত্রে ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
সিটি কর্পোরেশন আইন-২০০৯ এর ২৫(১) ধারা অনুযায়ী কর্পোরেশন মেয়াদোত্তীর্ণ হলে সিটি কর্পোরেশন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় কাজ সম্পাদন করতে একজন উপযুুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে। প্রশাসককে সহায়তা করতে একটা কমিটিও গঠন করতে পারবে।
আইনের ৩৪ (খ) ধারা অনুযায়ী ১৬ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। ২৯ মার্চ ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ নির্ধারণ করে এ তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘোষিত তফসিল মতে, ২৭ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ১ মার্চ। ৮ মার্চ ছিল প্রার্থিতা প্রহ্যাহারের শেষদিন। ৯ মার্চ প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটের মাঠে ছিলেন প্রার্থীরা।
চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ভোটের মাঠে রয়েছে ৭ জন। আওয়ামী লীগের মনোনীত নগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এসএম রেজাউল করিম, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ছাড়াও আছেন আরও ৫ জন প্রার্থী এবং ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৬৩ জন এবং ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ












