ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে চট্টগ্রাম বন্দরের শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়। শনিবার ঢাকা মহাখালীর খাজা টাওয়ারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন সাইফ পাওয়ারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকল্প সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম মারা যান। এছাড়াও এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েক কোটি টাকার সরঞ্জাম ও অফিসের মূল্যবান কাগজপত্র।
আহতরা হলেন- সেফটি অফিসার গোলাম রাব্বানী, এজিএম নাজমুল হাসান, হিসাব বিভাগের নূর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, প্রশাসন বিভাগের সুফী সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, অফিস এক্সিকিউটিভ নিজাম উদ্দিন, এইচ আর এক্সিকিউটিভ কায়সার আরাফাত এবং নিরাপত্তা প্রহরী চারজন যথাক্রমে- তারিকুল, শাকিল, আনোয়ার এবং মামুন।
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসা শেসে পরিচালক আমিনুজ্জামান ও বিদেশি ক্রয় কর্মকর্তা গোপাল সরকার ছাড়া বাকিরা ছাড়পত্র পেয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) জানান, ক্ষয়ক্ষতি এখনও নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তুপের কারণে ক্ষয়ক্ষতির হিসাবে কিছুটা সময় লাগছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, ভবনটির একাধিক ফ্লোরে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের অফিসগুলো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় ২৭ বছর ধরে দেশে সুনামের সাথে ব্যবসা করছে সাইফ পাওয়ার। প্রকৌশল খাতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক সুনাম রয়েছে। চট্টগ্রাম ও দুবাইয়ের বন্দরের মালামাল হ্যান্ডেলিং, নদী খনন, ব্যাটারি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পুনঃ নবায়নযোগ্য জ্বালানী, এলইডি লাটিং সল্যুশন, ফার্মাসিউটিক্যালসের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনসহ নানাবিধ মৌলিক ব্যবসা রয়েছে তাদের।













