বাংলাধারা ডেস্ক »
২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী মাহশা আমিনির মৃত্যুতে ইরানে শুরু হয়েছে তুমুল আন্দোলন। চলমান আন্দোলনে যোগ দিয়েছেনি দেশটির সর্বস্তরের নারী-পুরুষ। কঠোর হিজাব প্রথার প্রতিবাদে আন্দোলনকারী নারীরা প্রকাশ্যে তাদের চুল কেটে ফেলছেন। সরকারের কঠোর আইনের বিরুদ্ধে পুড়িয়ে ফেলছেন হিজাবও।
আন্দোলনকারীরা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির তিন দশকের শাসনের অবসান দাবি করছেন।
ইরানের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছেন নারী অধিকারকর্মীরা। এমন উত্তাল পরিস্থিতিতে আন্দোলন সংহতি জানিয়েছেন ইরানি অ্যানিমেশন শিল্পী বাহাদুর হাদিজাদেহ। তিনি একটি অ্যানিমেশন প্রকাশ করেছেন।
Iranian artist Bahadur Hadizadeh creates an animation of Tehran's iconic Azadi Tower adorned by dark hair blowing in the wind, in solidarity with the brave Iranian women. 💪 #MahsaAmini #مهسا_امینی pic.twitter.com/YpbcP2r89S
— Hananya Naftali (@HananyaNaftali) September 27, 2022
ওই অ্যানিমেশন চিত্রে দেখা যায়, দুরন্ত বাতাসে ইরানি নারীর কালো চুল উড়ছে আজাদি টাওয়ারের চূড়াভাগে।
মূলত এই অ্যানিমেশন চিত্রের মাধ্যমে ইরানি নারীর পোশাকের স্বাধীনতাকে প্রতিকায়িত করা হয়েছে।
ইরানের রাজধানী তেহরানে গত সপ্তাহে মাহশা আমিনিকে হিজাব আইন ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল ইরানের নৈতিকতা রক্ষা পুলিশ। আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তিনি অচেতন হয়ে যান। তিনদিন কোমায় থাকার পর গত শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই ইরানে হিজাব বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

ইরানের তেহরানের আজাদি স্কয়ারে এই টাওয়ারটি অবস্থিত। যা শাহের স্মৃতি টাওয়ার নামে পরিচিত।
তেহরানের অন্যতম ল্যান্ডমার্ক এই টাওয়ারটি তেহরান শহরের পশ্চিম প্রবেশপথও। এটি আজাদি সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের অংশ। এতে ভূগর্ভস্থ জাদুঘরও রয়েছে।
ইরানের শেষ শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির পৃষ্ঠপোষকতায় টাওয়ারটি নির্মিত হয়, উচ্চতা ১৪৮ ফুট। ১৯৭১ সালে শেষ হয় নির্মাণকাজ। সূত্র : সারাবাংলা













