বাংলাধারা প্রতিবেদন »
আজ বিশ্ব ব্রেন টিউমার দিবস। প্রতি বছর ৮ জুন বিশ্ব ব্রেন টিউমার ডে হিসেবে এটি পালিত হয়ে আসছে। সাধারণ মানুষদের মাঝে ব্রেন টিউমার সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে ও এ সম্পর্কিত তথ্য ছড়িয়ে দিতে জার্মান ব্রেন টিউমার এসোসিয়েশন ২০০০ সাল থেকে এই দিনটি পালন করা শুরু করে।ব্রেন টিউমার ডে-র অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য এই অসুখ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা। যাতে কোন রকম সন্দেহ হলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত সেরে উঠতে পারেন।
বিশ্ব ব্রেন টিউমার দিবসে এবারের প্রতিপাদ্যের বিষয় নির্ধারণ করা হলো ‘টু সি দ্যা পিপল উইথ ব্রেন টিউমার এস প্রিয়র এন্ড কনসিডার দেয়ার স্টোরিজ’। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্যটি নির্ধারণ করা হয়েছে মানুষের মধ্যে সচেতনতা এবং স্বীকৃতির প্রয়োজনিয়তা বাড়ানোর জন্য।
পুরো বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিকের বেশি মানুষের ব্রেন টিউমার ধরা পরে। এমনকি সেকেন্ডারি ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিকের বেশি হয়ে থাকে।মূলত ব্রেন টিউমার বেশ কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। যার মাঝে কিছু সংখ্যক ব্রেন টিউমার হলো নন-ক্যানসারাস (ক্ষতিকর নয়) এবং কিছু সংখ্যক টিউমার হলো ক্যানসারাস (মারাত্মক ক্ষতিকর)। সেকেন্ডারি টিউমার হলো ক্যানসারাস, যা শরীরের যেকোন স্থানে দেখা দেয় এবং মস্তিষ্ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পরে।
ভয়াবহ এই রোগটি সম্পর্কে সবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন। যে কোন বয়সেই ব্রেন টিউমার দেখা দিতে পারে।কী কারণে ব্রেন টিউমার দেখা দেয় তা সঠিকভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে বংশগত সমস্যা ও এক্স-রের মতো হাই ডোজ রেডিয়েশন এর ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। ডাক্তাররা ব্রেন টিউমারের বিভাগ তৈরি করে গ্রেড করার মাধ্যমে। গ্রেড যত বেশি, বুঝতে হবে টিউমার তত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ব্রেন টিউমারকে গ্রেড ১, ২, ৩, ৪ করে বিভাগীকরণ করা হয়।
ব্রেন টিউমারের আকার, ধরণ ও অবস্থানের উপরে এর লক্ষণ সমূহ নির্ভর করে। তবে প্রায় প্রতিটি রোগীর ক্ষেত্রেই কিছু কমন ও সাধারণ শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ পায়। এগুলো হলো- মাথাব্যাথা, খিঁচুনি, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, বমি হওয়া, মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তন, ভারসাম্য বজায় রাখা কিংবা স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলায় সমস্যা দেখা দেওয়া, কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেওয়া।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













