বাংলাধারা প্রতিবেদন »
মিতু হত্যার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ও গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী বাবুল-মিতুর ছেলে মাহির ও মেয়ে টাপুর। মিতু হত্যা মামলাটি পিবিআইয়ে আসার পর বক্তব্য নিতে বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তদন্ত কর্মকর্তারা। সর্বশেষ দ্বারস্ত হন আদালতের কাছে। আদালতও বাবুলের পিতা ও ভাইকে ১৫ দিনের সময় দিয়েছেন বাবুল-মিতুর দুই সন্তানকে পিবিআই কার্যালয়ে হাজির করতে।
রোববার (১৩ জুন) চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান পিবিআইয়ের আবেদেনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘বাবুল আক্তারের ছেলে ও মেয়ে মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তাদের সাথে কথা বলার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তাই আদালতের সরণাপন্ন হয়েছি। এখন আদালত বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাইকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দুই সন্তানকে পিবিআই কার্যালয়ে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরের জিইসি মোড়ে পুত্র মাহিরকে স্কুল বাসে তুলে দেওয়ার সময় গুলিতে ও ছুরিকাঘাতে খুন হন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ওই দিন রাতে তার স্বামী তৎকালীন পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত এসপি বাবুল আক্তার বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। পাঁচ বছরের মাথায় এসে স্বয়ং বাবুল আক্তারই স্ত্রী হত্যার মূল হোতা হিসেবে এখন জেলে।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













