২৪ অক্টোবর ২০২৫

বাকরুদ্ধ পরিবার, অপেক্ষা এখন তাদের সন্তানকে একনজরে দেখার

আনোয়ারায় তিন নাবিকের পরিবারে আহাজারি, কান্নার রোল

বাংলাদেশের মালিকানাধীন এমভি আব্দুল্লাহ কয়লা নিয়ে মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া থেকে প্রায় ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে এডেন উপসাগরে জাহাজটিতে হামলা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয় অস্ত্রধারী জলদস্যুরা। এতে ওই জাহাজে ২৩ বাংলাদেশি নাবিক দস্যুদের জিম্মিতে রয়েছেন।

তার মধ্যে আনোয়ারা উপজেলার তিনজন রয়েছে। তারা হলেন, আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের মহালখান বাজারের মধ্য বন্দর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে শামসু উদ্দীন শিমুল গাজী মিয়ার পুত্র সাজ্জাদ হোসেন, বদলপুরা গ্রামের আক্তার উদ্দীনের পুত্র আসিফুর রহমান।

দস্যুদের কাছে জিম্মি হওয়া পরিবাররা জানায়, তাদের সন্তানের সাথে শেষ কথা হয়েছে সন্ধ্যা ০৭ টায়।এরপর আর কথা হয়নি। তারা কেমন আছে কী করতেছে কেউ জানেনা। এ অনিশ্চয়তায় ভুগছে নাবিকদের মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তান, ভাইবোন, সহপাঠী সহ আত্মীয়স্বজনরা। ওইসব পরিবারের সদস্যরা জাহজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান (কে এস আর এম) এর চট্টগ্রাম অফিসে যোগাযোগ করেন।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর এক কর্মী জানিয়েছেন, জাহাজটিকে সোমালিয়ান দস্যুরা তাদের আস্তানায় নিয়ে যাচ্ছে।

আনোয়ারা উপজেলার মধ্যে বন্দর এলাকার মৃত আয়ুব আলীর পুত্র শামসুদ্দিন শিমুলের স্ত্রী ফারজানা সুলতানা রিমা বলেন,বিগত ৩ মাস যাবত জাহাজে অবস্থান করলেও হঠাৎ করে সেদিন ফোনে বলে যে তাদেরকে নাকি জলদস্যুরা জিম্মি করে রেখেছে। পরে কারও সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সন্ধ্যায় শেষ কথা হয় তখন সে বলে যে, পাইরেটসরা আমাদের মোবাইলসহ সব যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে যাচ্ছে। এখানে টাকা না দিলে, আমাদেরকে একজন-একজন করে সবাইকে মেরে ফেলবে বলতেছে।এদেরকে যত তাড়াতাড়ি টাকা দিবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়ি দিবে বলতেছে। সবাই দয়া করে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

আরও পড়ুন