আনোয়ারায় শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দিয়ে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় গভীর রাতে আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশে কর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও অর্থপ্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদ এবং ওয়াসিকা আয়েশা খানসহ ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০/৭০ জনকে আসামি করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতদের শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জুঁইদণ্ডীর পেটু মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদের (৫০), মোস্তাকের ছেলে আরিফ (২০) এবং আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুল খালেক (২৮)।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঘটনাস্থলের আশপাশে অবস্থান ও সমর্থন প্রদান, দেশে-বিদেশ থেকে সহায়তা ও অর্থ প্রদান, রাষ্ট্রবিরোধী তথ্য প্রচার, আসামিদের আশ্রয়দানসহ বিভিন্নভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে পলাতক ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা পলাতক আওয়ামী লীগের দুই সাবেক মন্ত্রীসহ শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যানদের নির্দেশে জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের শতাধিক কর্মী নিয়ে লাঠিসোঁটা হাতে চৌমুহনী বাজার এলাকায় অবস্থান করেন এবং সরকারবিরোধী স্লোগান দেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে লাঠিসোঁটা ফেলে পালিয়ে যায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা। এতে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ৬৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৬০/৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করা হয়।

এই মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাবেক অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান, জাবেদের পিএস রিদওয়ানুল করিম সায়েম, সাবেক চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ, মাস্টার ইদ্রিস, আমিন শরীফ, আফতাব উদ্দিন সোহেলসহ ৬৮ জন।

আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন,

“রাতের অন্ধকারে রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, জনগণের ক্ষতিসাধন ও নাশকতার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল, লাঠিসোঁটা ও কিরিচ নিয়ে অবস্থান করেন শতাধিক আওয়ামী লীগের লোকজন।

সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে উগ্রতা প্রদর্শন করেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়। এসময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”