চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৩০তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে।
ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আনোয়ারা উপজেলা শাখার আয়োজনে এটি ছিল স্থানীয় পর্যায়ের ৪র্থ হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে আনোয়ারা মডেল মসজিদ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ৩৪৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। ১০ জন বিশিষ্ট হাফেজ ও আলেম বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন আনোয়ারা উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মহিউদ্দীন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মারুফুল ইসলাম। দপ্তর সম্পাদক হাফেজ কারী মিজানুর রহমানও পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— চট্টগ্রাম-১৩ আসনের বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদীয় আসন-১৩ এর প্রার্থী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ইরফানুল হক হালিম, কাফকো কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মাওলানা আবুল হোসাইন, হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা আবরার মাহমুদ সালেহ, শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশনের দক্ষিণ জেলা সভাপতি মাওলানা হামিদ হোসাইন আজিজি ও মাওলানা ছৈয়দ নুর আনোয়ারী প্রমুখ।
দিনব্যাপী প্রতিযোগিতায় প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুর রশিদ। সমন্বয়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা জামাল উদ্দীন তাওহিদি, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এরশাদ উল্লাহ, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শহিদুল মোস্তাফা, অর্থ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু সাঈদ এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
৩৪৯ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৫ পারায় ১৫ জন, ১০ পারায় ১৫ জন, ২০ পারায় ১০ জন ও ৩০ পারায় ৭ জনসহ মোট ৪৭ জন বিজয়ী নির্বাচিত হন। বিজয়ীদের হাতে অর্থ পুরস্কার, ক্রেস্ট, সনদ ও জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ‘ইয়েস কার্ড’ প্রদান করা হয়। অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদেরও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ক্বারি মাওলানা ফোরকান মাহমুদ, মাওলানা মোকাদ্দেছ হোসাইন তোরাবী, হাফেজ মাওলানা আলাউদ্দীন, হাফেজ শহিদুল্লাহ আনোয়ারী, হাফেজ আবদুল আজিজ ফয়সাল, হাফেজ মহিউদ্দীন মনজুর, হাফেজ জামাল উদ্দীন, হাফেজ দিদার আহমেদ, হাফেজ শিহাব উদ্দীন, হাফেজ মাইনুদ্দিন, হাফেজ এখলাছুর রহমান, হাফেজ মাওলানা নেজাম উদ্দীন তালুকদার প্রমুখ।
শেষে ৩৪৯ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৪৭ জন ‘ইয়েস কার্ড’ প্রাপ্ত হয়ে জেলা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন। বাকি প্রতিযোগীদের সনদ প্রদান করে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা এবং হাফেজে কুরআনদের সফলতা কামনায় বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
