আনোয়ারা প্রতিনিধি »
স্বনির্ভর খালে বাঁধ দিয়ে আনোয়ারা-বরকল সড়কের গাইড ওয়াল নির্মাণের কাজ কচ্ছপ গতিতে চলছে। ফলে এই খালের সেঁচের ওপর নির্ভরশীল শোলকাটা-খিলপাড়া বিলের ৩’শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
প্রায় ২ হাজার কৃষক বোরো চাষাবাদ করতে পারবেন কিনা সেই শঙ্কায় রয়েছেন। স্থানীয় কৃষি অফিস, উপজেলা প্রশাসন ও সওজের পক্ষ থেকে ঠিকাদারকে বার বার তাগাদা দেয়ার পরও কাজের গতি সেই আগের জায়গায় রয়েছে। বোরো মৌসুমের আগে কাজটি শেষ করতে হলে জনবল বাড়াতে হবে বলে মত দিয়েছেন অভিজ্ঞ মহল।
জানা যায়, আনোয়ারা-বরকল সড়কের হাসপাতালের পূর্বপাশে সড়কের ভাঙন ঠেকাতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) একটি প্রকল্পের আওতায় গাইড ওয়ালের কাজ করছেন একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এজন্য মাস দেড়েক আগে থেকে খালের মাঝখানে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এ নিয়ে খিলপাড়া, বারখাইন ষোলকাটা ও হাজী গাঁওয়ে প্রায় দুই হাজার চাষীদের ৩ শত হেক্টর জমির মধ্যে বোরো চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সওজ কর্তৃপক্ষ বোরো মৌসুমের আগেই খালের বাঁধ খুলে দেয়া হবে বলে জানালেও কাজের গতি দেখে তা বুঝা যাচ্ছে না।
স্থানীয় বোরো চাষী মো. কামাল বলেন, প্রতি বছর বোরো মৌসুমে স্বনির্ভর খালের সেঁচ দিয়ে খিলপাড়া, বারখাইন, শোলকাটা ও হাজীগাঁওয়ের প্রায় ২ হাজার কৃষক চাষ করে থাকে। কৃষকরা রোপনের জন্য বীজও তৈরি করে ফেলেছে। জমিতে কাজও শুরু করে দিয়েছে। এখনো বাঁধ কাটার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
অপর চাষী আহমদ কবির জানান, স্বনির্ভর খালের পানি দিয়ে কয়েক হাজার কৃষক বিভিন্ন বিলে বোরো আবাদ করেন। শুধু শোলকাটা বিলে রয়েছে দেড় হাজারের উপরে বোরো চাষী। আর ক’দিন পরেই বোরো চাষের ভরা মৌসুম। কিন্তু আনোয়ারা-বরকল সড়কের শোলকাটা এলাকায় রাস্তার ভাঙন রোধে দেয়াল নির্মাণের কাজ করছে সওজ। ঠিকাদার বিকল্প ব্যাবস্থা না করে নিজেদের সুবিধার্থে খালটিতে মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে। ফলে বোরা চাষ নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে কৃষকরা। খালের বাঁধ যেন দ্রুত খুলে দেয়া হয় এজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, স্বনির্ভর খালের বাঁধের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সওজের সাথে কথা বলেছি। তাঁরা বোরো মৌসমের আগেই বাঁধ খুলে দেবে বলে জানায় আমাদের। কিন্তু বোরো মৌসম চলে এসেছে এখনো বাঁধ খুলেনি। কয়েক দিনের মধ্যে বাঁধ খুলে না দিলে প্রায় ৩ শত হেক্টর জমির ২ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













