৩০ অক্টোবর ২০২৫

আনোয়ারায় প্রতিপক্ষের দেয়া বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যুবকের মৃত্যু, আটক ১০

আনোয়ারা প্রতিনিধি »

আনোয়ারায় বিরোধপূর্ণ জায়গায় জোরপূর্বক দেয়া প্রাচীরে রাতে ছড়িয়ে দেয় বিদ্যুতের তার। তাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রতিপক্ষ দুই সন্তানের জনক আব্দুল খালেক (৩০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৯ মে রাতে উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের খুরুস্কুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত মনজুরা বেগম ও তার ছেলে সাজ্জাদসহ ১০ জনকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে।

নিহত আবদুল খালেক স্থানীয় মৃত হাসান মুরাদের পুত্র। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিহতের পরিবার এবং আটক মনজুরা খাতুনের পরিবারের সাথে একটি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট বিচারাধীন আছে। গতকাল রাতে মনজুরা খাতুন ও তার ছেলেরা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিরোধপূর্ণ স্থানে জোরপূর্বক প্রাচীর নির্মাণ করে রাতে সেখানে বিদ্যুতের তার ছড়িয়ে দিয়ে পুরো এলাকা বিদ্যুতায়িত করে দেয়। রাত বারটার সময় নিহত আব্দুল খালেক সিএনজি বন্ধ করে রেখে সেখানে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের স্বজন এবং ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে নিহতের মা, ভাই ও বোনসহ ৫ জন আহত হন। আহদের আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। চোখে আঘাতপ্রাপ্ত একজনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামিদের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

নিহত আব্দুল খালেকের সাইফুল ইসলাম আবিদ নামে আট বছরের একজন ছেলে এবং আবিদা সুলতানা মাহি নামে পাঁচ বছরের একজন কন্যা সন্তান রয়েছে।

নিহতের বড় ভাই মো. জমির বলেন, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে জোরপূর্বক আমাদের জায়গায় প্রাচীর নির্মাণ করে সেখানে গোপনে বিদ্যুতের তার ছড়িয়ে দিয়ে আশপামের এলাকা বিদ্যুতায়িত করে দেয়। রাতে আমার ভাই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায়। আমারা আমার ভাইয়ের হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার চাই।

আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, আমরা ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে আটক করেছি। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুন