আনোয়ারা প্রতিনিধি»
আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সদস্য জসীমের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেয়ার কথা বলে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১২ হাজার টাক ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইউএনও’র কার্যালয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শুনানি অনুষ্টিত হয়। শুনানিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইউপি সদস্য জসীমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৬০০ ঘরের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৬৫ টি ঘর নির্মাণ করে ভ‚মিহীনদের নিকট হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ভুমিহীন ও গৃহহীনদের তালিকা নেয়া হয়। বারখাইন ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জসীম উদ্দিন স্থানীয় মো. সেলিম,শহীদুল ইসলাম,নুর বেগম ও ফরিদা বেগমসহ ৪ জনের নাম তালিকাভুক্ত করার সময় ইউএনও ও প্রকল্প কর্মকর্তাকে দেয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা করে নেন। পরে এসব ভূমিহীনরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর না পেয়ে মঙ্গলবার সকালে শহীদুল ইসলাম ও ফরিদা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ইউপি সদস্য জসীমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৎক্ষণাত সকলের উপস্তিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত করেন। শুণানিতে ভূমিহীনদের কাছ থেকে ঘর দেয়ার নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইউপি সদস্য জসীমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ভান্ত গ্রহণ করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জামিরুল ইসলাম বলেন, সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) আমার নিকট একজন মহিলা ও একজন পুরুষ এসে ইউপি সদস্য জসীমের বিরুদ্ধে ঘর দেয়ার নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ করলে আমি তাদেরকে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে বলি। পরে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) তারা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেয়ার নামে দুইজন আমার কাছে অভিযোগ করলে আমি সাথে সাথে সকলের উপস্থিতিতে শুণানি করি। শুনানিতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস













