২৪ অক্টোবর ২০২৫

আনোয়ারায় মাদ্রাসা দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ২৪

আনোয়ারা প্রতিনিধি »

আনোয়ারার বারশত ইউনিয়নের দুধকুমড়া শরীফ মোল্লা দিঘীর পাড়া এলাকায় মদিনাতুল উলুম ফোরকানিয়া মাদ্রাসা দখল নিয়ে দু’পক্ষের হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বারশতের মোল্লা দিঘীর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ২৪ জন আহত হয়। পরে কয়েক জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলেও জানা গেছে।

ঘটনাস্থলে আনোয়ারা থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

আহতরা হলেন— স্থানীয় এনামুল হক (৩৪), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৪২), আলমগীর (৩৫), আবদুল গফুর (৫৭), হাসান (১৫), হিরা আকতার (৩৫), জোবায়ের (১৬), তাহেরা (৩০), রুমি (২৫), শাহ আলম (৫০), আবদুর রহমান (৬০), সোহেল (২৮), জাকির আহমেদ (৭০), জাফর ইকবাল (৪০), নুর হোসেন (২০), মোহাম্মদ ইকবাল (৪৮), মোহাম্মদ ইমন (২৫), ইউসুফ (২২), আবদুর রহিম (৫০), আলমগীর (৩৮), ফরহাদ (১৮), ইব্রাহিম (৪০), তাহের (৫০) রুবেল (২৮)।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দুধকুমড়া এলাকায় মদিনাতুল উলুম ফোরকানিয়া মাদ্রাসা দখলকে কেন্দ্র করে কলিম উদ্দিন মাতব্বর গুষ্টি ও একই এলাকার মধ্যমপাড়া সোসাইটির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছে। একই এলাকার মেনাগাজির বাড়ির মৃত মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র প্রবাসী জাফর ইকবাল মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন করার জন্য একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়। এসময় উভয় পক্ষ সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের ঘরেও হামলা চালিয়ে ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। মাদ্রাসাটি দীর্ঘিদন ধরে কলিম উদ্দিন মোল্লার বাড়ি জামে মসজিদের হাজী মোহাম্মদ সৈয়দ নুরের অধিণে পরিচালিত হচ্ছে। প্রবাসী জাফর ইকবাল দেড় মাস আগে সৌদিয়া থেকে দেশে এসে মাদ্রাসাটি তাদের দাবী করেন। মাদ্রাসার নাম পাল্টিয়ে ঝুলিয়ে দেন একটি সাইনবোর্ডও। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তর্কাতকির শুরু হয়। ঘটনাস্থলে রাঙ্গাদিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ও আনোয়ারা থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন আনোয়ারা-বাঁশখালী সার্কেল এসপি হুমায়ূন কবির, আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার, বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ূম শাহ্, থানার ওসি তদন্ত ওমর সাঈদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

স্থানীয় বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ূম শাহ্ বলেন, মাদ্রাসা দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন ও স্থানীয় সমাজের ব্যক্তিবর্গ নিয়ে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন