২৬ অক্টোবর ২০২৫

আনোয়ারা চাতরী চৌমুহনী বাজারে নিত্য যানজট; চরম দুর্ভোগে জনগণ

আনোয়ারা প্রতিনিধি »

আনোয়ারা উপজেলার ব্যস্ততম চাতরী চৌমুহনী বাজারের রাস্তার দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজট এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় দাঁড়িয়েছ। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা এই যানজট এখন নিয়মিত  ব্যাপার। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আসলে যানজটের তীব্রতা  বেড়ে যায়। এতে দীর্ঘ যানজটে সাধারণ যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে সময়-অর্থ দুটোই অপচয় হচ্ছে।

তবে করোনার পর থেকে এই সড়কে হঠাৎ যানজট বেড়ে যাওয়ার পেছনে লোকবল সংকট ও মামলা না থাকাকেই দায়ী করছেন দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ। তারা বলছেন, চাতরী চৌমুহনী  বাজারের গোল চত্ত্বরের চারপাশে সিএনজি ট্যক্সি ও বাসগুলো  দাড়িয়ে থাকে। সরিয়ে  দিলে সামান্য দুরে গিয়ে আবারো দাড়িয়ে  থাকে। ফলে দুই দিকে যানজট লেগে যায়। যানজটের কবলে পরে ভোগান্তি বাড়ছে আনোয়ারাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা এ্যাম্বুলেন্সগুলোকে। তাদেরকে রোগী নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে হয় সড়কে।

জানা যায়, চাতরী চৌমুহনীতে ৭/৮ জন কনস্টেবলের স্থলে আছেন মাত্র ৩ জন। সহকারি ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল হোসেনেরও অন্য জায়গায় বদলির আদেশ এসেছে। ফলে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা অবস্থা  বিরাজ করছে চাতনী চৌমুহনী বাজারে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশদের মধ্যে। এ কারণে লকডাউনের পর থেকে চাতরী চৌমুহনীর যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা।

এদিকে, প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা যানজটের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যাত্রী ও চালকরা। সামাজিক যোগাোযগ মাধ্যমেও অনেককে ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা গেছে।

সিএনজি ট্যাক্সি চালক মো. আবুল বাশার বলেন, প্রতিদিন এ ধরনের যানজটের কারণে আমরা গাড়ী চালাতে পারছিনা। একদিক থেকে একবার আসলে আর যাওয়া যায়না।

ট্রাফিক পুলিশের সহকারি পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল হোসেন বলেন, একদিকে মামলা নেই আর অন্যদিকে লোকবল সংকট। ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।

আনোয়ারা থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, চাতরী বাজারের যানজট নিরসণে বাজার ইজারাদার, ট্রাফিক পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাধারা/এফএস/এএ

আরও পড়ুন