খালেদ মনছুর, আনোয়ারা প্রতিনিধি »
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বহিরাগত অবৈধ এ্যাম্বুলেন্স। চলছে রীতিমত সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের সাথে পাল্লা দিয়ে রোগী নিয়ে টানাটানি। হাসপাতালে ভেতরে রোগীদের চলাচলের পথে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখে এসব অ্যাম্বুলেন্স।
মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেসবিহীন হাইয়েসকে অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে রোগী টানছেন তারা। এসব এসব অবৈধ অ্যাম্বুলেন্সের মালিকের ক্ষমতার সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক প্রকার অসহায়।
বারবার বলা সত্ত্বেও এসব অবৈধ অ্যাম্বুলেন্স (হাইয়েস) হাসপাতালের ভেতর থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের সাথে টেক্কা দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন রোগীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে আছে দুটি মেয়াদোত্তীর্ণ হাইয়েস।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাইয়েসগুলো অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার হয়। স্থানীয় মো. হাসান ও মো. রেজাউল এগুলোর মালিক। এর খানিকটা দূরে করোনা পরীক্ষার স্থানে পার্কিং করা অপর একটি অ্যাম্বুলেন্স। সেটার মালিক মো. রেজাউল। এগুলো প্রতিদিন এভাবে হাসপাতালের ভেতরে পার্কিং করে রাখা হয়।
কোনো রোগীকে চমেক হাসপাতালে রেফার করলে এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো তাদের নিয়ে টানাটানি শুরু করেন। যেখানে সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া ৪৬০ টাকা সেখানে এসব এ্যাম্বুলেন্সে নেয়া হয় ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা। রোগীদের এক প্রকার জিম্মি করেই আদায় করা হয় এই টাকা। তাছাড়া চলাচলের পথে পার্কিং করে রাখার কারণে হাসপাতালে আসা রোগী ও ডাক্তার নার্সদের গাড়ী চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বারবার বলার পরও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, রোগীদের জিম্মি করে তারা চমেক হাসপাতালে নিয়ে যেতে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা আদায় করেন।
অ্যাম্বুলেন্সের মালিক মো. রেজাউল বলেন, আমি একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বুলেন্স চালাই। অফিস টাইম শেষ হলে হাসপাতালে আসি।
অপর অ্যাম্বুলেন্স মালিক মো. হাসান বলেন, আমি আজকে আমার গাড়ী হাসপাতালের ভেতর রাখিনি। অন্যরা এখনো হাসপাতালের ভেতর গাড়ী পার্কিং করে রেখেছেন। এদের কিছুই হয়না। এরা নাকি গাড়ী রাখার স্থানটি কিনে নিয়েছেন।
আনোয়ারা হামপাতালের স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. আবু জাহিদ মো. সাইফুদ্দিন বলেন, এসব বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে বার বার বলার পরও তারা এগুলো হাসপাতালের ভেতর থেকে সরিয়ে নিচ্ছে না। আর এগুলোতো অ্যাম্বুলেন্সও না। ফিটনেসবিহীন গাড়ী। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। আমাদেরতো আর লাঠিপেটা করার ক্ষমতা নাই। প্রশাসনকে জানিয়েছি, তারা ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছেন।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













