১২ নভেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণের খবর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক »

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও উঠে এসেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা। বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা, রয়টার্স, আরটি, এনডিটিভিসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম গুরুত্বসহকারে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করছে।

শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৬ ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা তিনশ ছাড়িয়েছে। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিট।

এ ঘটনায় বিবিসি তাদের মূল প্রচ্ছদে রেখেছে সীতাকুণ্ড আগুনের ঘটনা। কর্তৃপক্ষের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, শনিবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরনগরী থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। সেখানে এক বিস্ফোরণের পর একাধিক কন্টেইনার বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, নিরাপত্তা বিধির যথাযথ প্রয়োগের কারণে বাংলাদেশে প্রায় সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে রাজধানী ঢাকার বাইরে একটি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় আগুন লেগে ৫৪ জন প্রাণ হারান।

এপি বলছে, শিল্প বিপর্যয়ের ইতিহাস রয়েছে বাংলাদশে, এরমধ্যে অন্যতম হলো কারখানায় আগুন লাগার পর শ্রমিকদের ভিতরে আটকে পড়ে থাকা। বছরের পর বছর ধরে এই মারাত্মক ঘটনার জন্য দুর্নীতি ও শিথিল বিধি প্রয়োগকে দায়ি করেছেন পর্যবেক্ষকরা। গার্মেন্টস শিল্পে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। এই শিল্পে ব্যাপক সংস্কারের পর আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য খাতে একই ধরনের পরিবর্তন না আনতে পারলে দুর্ঘটনা ঘটতে থাকবে।

এছাড়া কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমও একইভাবে গুরুত্ব দিয়ে সীতাকুণ্ড আগুনের খবর প্রকাশ করেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের নানা গণমাধ্যমে নানা আঙ্গিকে তুলে ধরা হয়েছে এই ঘটনা।

এদিকে দীর্ঘচেষ্টার পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমিশিম খাচ্ছে দমকল বাহিনী। হতাহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ