২৫ অক্টোবর ২০২৫

আফছারুল আমীনের মরদেহ চট্টগ্রামে

চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের মরদেহ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। আজ শনিবার (৩ জুন) বেলা পৌনে ১টার দিকে নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে।

এর আগে ডা. আফছারুল আমীনের প্রথম জানাজা শনিবার (৩ জুন) সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অফিস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রামে মরদেহ গ্রহণ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এ সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রসাশক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

ডা. আফছারুল আমীনের এপিএস দেলোয়ার হোসেন বলেন, মরদেহ এম এ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে সরাসরি দক্ষিণ কাট্টলীর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে মরদেহ আসরের সময় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে আনা হবে। আসরের নামাজের পর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদে এশা দক্ষিণ কাট্টলী পি এইচ আমীন একাডেমি স্কুল প্রাঙ্গণে তৃতীয় জানাজা শেষে দক্ষিণ কাট্টলী মো. হোসেন চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (২ জুন) বিকেল ৪ টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তিনি দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অবশেষে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি মারা গেছেন।

আফছারুল আমীন চট্টগ্রাম–১০ আসনে ২০০৮ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন। এরপর তাঁকে মন্ত্রী করা হয়। প্রথমে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ হন।

সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–১০ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন। গত দুই সংসদে তাঁকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করেন প্রধানমন্ত্রী।

ডা. আফছারুল আমীন ও ডা. কামরুন্নেছা দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান ফয়সাল আমিন উচ্চশিক্ষা শেষ করে ব্যবসায় নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করাচ্ছেন। ছোট ছেলে ডা. মাহিদ বিন আমিন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী রেজিস্ট্রার। তাদের নামকরা চিকিৎসক মা অধ্যাপক কামরুন্নাহার ২০১৮ সালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন