চট্টগ্রাম–১০ আসনের সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফসারুল আমীনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি।
শোক বার্তায় শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, আফছারুল আমিন দুঃসময়ে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্র সেনানী ছিলেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালীন তিনি প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা দলের একজন পরীক্ষিত নেতাকে হারালাম।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে আজ শুক্রবার (২ জুন) বিকেল ৪ টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ডা. আফসারুল আমীন। জানা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। প্রথমে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরপর দেশে নিয়মিত চিকিৎসা নেন।
ডা. আফসারুল আমীন দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তিনি দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অবশেষে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি মারা গেছেন।
আফছারুল আমীন চট্টগ্রাম–১০ আসনে ২০০৮ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন। এরপর তাঁকে মন্ত্রী করা হয়। প্রথমে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং পরে প্রাথমিক ও গণ-শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ হন।
সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–১০ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন। গত দুই সংসদে তাঁকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করেন প্রধানমন্ত্রী।
ডা. আফছারুল আমীন ও ডা. কামরুন্নেছা দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান ফয়সাল আমিন উচ্চশিক্ষা শেষ করে ব্যবসায় নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করাচ্ছেন। ছোট ছেলে ডা. মাহিদ বিন আমিন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী রেজিস্ট্রার। তাদের নামকরা চিকিৎসক মা অধ্যাপক কামরুন্নাহার ২০১৮ সালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে অবসর গ্রহণ করেন।













