৯ নভেম্বর ২০২৫

আবারও চোরের কবলে আবুল খায়েরের জাহাজ, আটক ৯

 

গত জুনে আবুল খায়েরের জাহাজ থেকে মালামাল লুটের সময় নৌ-পুলিশের হাতে চোর চক্রের ৭ সদস্য আটক হয়েছিল। এ ঘটনার তিনমাস যেতে না যেতেই আবারও মালামাল চুরির সময় ৯ জনকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, জাহাজের মাস্টার ও লস্করকে হাত করে ঘুরেফিরে চক্রটি প্রতিষ্ঠানটির জাহাজ থেকে আমদানি করা মালামাল পাচারের চেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য জানান নৌ-পুলিশের কর্মকর্তারা।

এর আগে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে কর্ণফুলী নদীর ডায়মন্ড ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের ওই ৯ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় এমভি টিটু-৭ নামে একটি লাইটারেজ জাহাজ থেকে মালামাল পাচার করছিল তারা। আড়াল থেকে তিনজন ‘সিন্ডিকেট লিডার’ প্রতিষ্ঠানটির জাহাজ থেকে মালামাল লুটে অভিনব কায়দায় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আটক ৯ জন হলেন- জাহাজটির মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন (৪০), ড্রাইভার মোক্তার হোসেন (৩৭), সুকানী মো. নাজমুল হাসান (২৪), সুকানী মো. রাজিব খলিফা (২৫), গ্রিজার মো. করিম উদ্দিন (২২), লস্কর আব্দুর রহিম (৩০), লস্কর মো. জাহিদ (২১), মো. কালাম (৩৮) ও আব্দুল (২৪)।

নৌ-পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, গভীর রাতে জাহাজ থেকে মালামাল লুটে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে একটি চক্র। আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এরই মধ্যে বেরিয়ে এসেছে চক্রটির তিনজন দলনেতার নাম। গত জুনেও কর্ণফুলীর ডায়মন্ড ঘাটে এমভি-৭ নামে আবুল খায়েরের একটি জাহাজে লুটের ঘটনায় গ্রেফতার আসামিরাও এ তিন হোতার নাম জানিয়েছিলেন পুলিশকে।

চিহ্নিত তিনজন হলেন, কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটা এলাকার মৃত মফজলের ছেলে মো. ইদ্রিস (৩৫), একই এলাকার রফিক মাঝির ছেলে সাজ্জাত (২৩) ও আবুল হোসেনের ছেলে আবু তাহের (২৪)।

সদরঘাট নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মিজানুর রহমান বলেন, জাহাজ থেকে মালামাল পাচারে একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বেশ কয়েকটি জাহাজে লুটের ঘটনায় চিহ্নিত ওই তিনজনের নাম এসেছে। তাদের নামে কয়েকটি মামলাও আছে। প্রতিবারই অভিনব পন্থায় জাহাজ লুটের চেষ্টর চালাচ্ছে চক্রটি। জাহাজে থাকা স্টাফদের আগে থেকেই টাকা পয়সা দিয়ে মালামাল লুটের চেষ্টা হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ