চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে নৌকার প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি নির্বাচনী জনসভায় বলেছেন, আমার প্রয়াত পিতা আখতারুজ্জামান বাবুর কারণে এই আনোয়ারাকে দেশের মানুষ সবাই চেনে। আর আমাকে এখনো আখতারুজ্জামান বাবুর ছেলে বলে ডাকে অনেকে। আমি যদি কোনো অন্যায় কাজ করি বা বিপথে চলি তাহলে সবাই আমার বাবাকে ধরে গালাগাল করবে। এজন্য আমি খুব হিসাব করে পা বাড়াই। যাতে আমার দ্বারা কোনো অন্যায় না হয়। অন্যায় হবে মনে করলে আমাকে ভোট দেবেননা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের মালঘর বাজারে হাইলধর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, হাইলধর আমার গ্রাম। এখানে আমার বাবা শুয়ে আছে। এখানে আমার বাবার বয়সী অনেক মুরুব্বি আছে। আমি যেখানেই থাকিনা কেন আমার মন সবসময় আমার গ্রামে পড়ে থাকে। আমি চেষ্টা করি আমার পিতা যেভাবে আপনাদের পাশে ছিলেন আমিও যাতে সেভাবে আপনাদের পাশে থাকতে পারি। রাজনীতি করি বা না করি আমার সবসময় আপনাদের পাশে থাকতে হবে। আপনাদের আমাকে প্রয়োজন না হতে পারে কিন্তু আপনাদের আমাকে লাগবে।
ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, গত ১৫ বছরে আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করিনি। কিন্তু তারা পুলিশের উপর হামলা করেছে। গাড়ী পুড়িয়ে দিয়েছে। এখন পুলিশ তাদের ধরবে। এখন আমার করার কিছুই নেই। এজন্য আমি বলি বাড়াবাড়ি করবেননা। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে বাধাগ্রস্থ করবেননা। তাহলে বিপদে পড়বেন। আমি বাঁচাতে পারবনা।
এসময় হাইলধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য এস এম আলমগীর চৌধুরী, ভূমিমন্ত্রীর একান্ত সচিব রিদোয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এম এ মালেক, উপজেলা সহ-সভাপতি জাফর উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, হাইলধর ইউপি চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছগির আহমেদ আজাদ, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সদস্য আব্দুর রহিম, সেলিম মেম্বার, মোঃ লোকমান। শ্রমীক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ নোমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আবুল মনসুর চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আলী আকবর, জামশেদুল ইসলাম, রেজাউল করিম আনিস, আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হক চৌধুরী বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ হোসেন বাবু, মোঃ হাসান, মফিজুর রহমান, বাবু দিলীপশীল, আব্দুল গফুর, আজাদ হোসেন, দাহারুল আলম, শাহজাহান, আবুল খায়ের, মুস্তাফিজুর রহমান, শাহদাত হোসন মিন্টু, নুর আলী, জামাল মিয়া, সাজিয়া আক্তার, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।












