৮ নভেম্বর ২০২৫

আমৃত্যু কারাদণ্ড ৩ জনের, যাবজ্জীবন ৯ জনের

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

তিন দশক আগে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতা সাইফুদ্দিন ইমরান হত্যার ঘটনায় তিনজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল হাসনাত এ রায় দেন।

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন- সাইফুল আলম, সাহাবুদ্দিন ও আমীর হামজা। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা দিয়েছেন আদালত।

যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন- কবীর আহমদ, দিদারুল আলম ওরফে মিলন, আবু আবদুল্লাহ ওরফে কিরণ, সিদ্দিক আহমদ, রুহুল আমীন, হুমায়ন কবীর, আরিফ হোসেন, আনোয়ারুল আজিম ও জয়নাল আবেদিন।

আমৃত্যু কারাদণ্ডিত কবির আহাম্মদ ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হুমায়ন কবির রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপরদিকে বিচার চলাকালে আসামি হেঞ্জু মিয়া মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম দায়রা আদালতের পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন আদালত। আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্তরা গ্রেপ্তার হলে মৃত্যু পর্যন্ত সাজা ভোগ করবেন। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ৩০ বছর বলে উল্লেখ করেছেন বিচারক।’

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালের ১৮ জুন আসামিরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিরসরাই থানার সাহেরখালি ভোরের বাজার এলাকায় মো. সাইফুদ্দিন ওরফে ইমরানের উপর হামলা চালায়।

এসময় কিরিচ, লোহার রডসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আক্রমণ করা হয়। সাইফুদ্দিনের সঙ্গী নাজিম উদ্দিন ও আলাউদ্দিন ভুক্তভোগীকে রক্ষা করতে এলে তাদেরকেও জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে সাইফুদ্দিন মারা যান।

পিপি ইফতেখার বলেন, ‘সাইফুদ্দিনের বাবা ইসমাইল সিদ্দিকী জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। সাইফুদ্দিন জাতীয় ছাত্র সমাজ করতেন। আর আসামিরা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক রেষারেষি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছিল।’

পরে সাইফুদ্দিনের বাবা ইসমাইল সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলা করেন।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ