বাংলাধারা প্রতিবেদন »
ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বন্দরের মূল জেটিগুলো জাহাজশূন্য করা হয়েছে । বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাত থকে রক্ষায় ‘বুম আপ’ করা হয়েছে ১৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেনও, হির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে গেছে এর আগেই ।
সুপার সাইক্লোন আম্পানের কারণে আবহাওয়া অফিস পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে।
বন্দরের সিসিটি ও এনসিটির দায়িত্বে থাকা শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের সিওও ক্যাপ্টেন তানভির জানান, সকাল ৮টা ২০ মিনিটে জেটির সর্বশেষ জাহাজটি বহির্নোঙরে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে জেটিতে কোনো জাহাজ নেই। গ্যান্ট্রি ক্রেনগুলো ঝড়ো হাওয়ায় যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, নিরাপত্তার জন্য বুম আপ অবস্থায় অ্যাংকর করা হয়েছে। ইয়ার্ড ও ব্যাক আপ অপারেশন এখনো চলছে।
বন্দরের উপ-সংরক্ষক ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম জানান, বন্দরের জেটি থেকে ১৯টি জাহাজ সোমবার (১৮ মে) বিকেল চারটা থেকে মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বহির্নোঙরে থাকা ৫১টি বড় জাহাজ গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৮, ১৫ নম্বর খাল এবং গুপ্তখালের লাইটার-কোস্টার ভ্যাসেলগুলো বাংলাবাজার থেকে শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব টাগ ও নৌযানগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্ক সংকেত অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অ্যালার্ট-৩ জারি করেছে। তিনটি কনট্রোল রুম (নৌ বিভাগ- ০৩১ – ৭২৬৯১৬, পরিবহন বিভাগ- ০৩১- ২৫১৭৭১১, সচিব বিভাগ – ০১৭৫১৭১৩০৩৭ খোলা হয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













