কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা’র) সাথে র্যাবের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আরসা সদস্যরা ক্যাম্পে নাশকতার পরিকল্পনার খবর পেয়ে র্যাব অভিযানে গেলে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক এইচএম সাজ্জাদ হোসেন।
গোলাগুলির পর আরসার শীর্ষ কমান্ডার মাস্টার ইউনুসসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় বিস্ফোরকসহ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মাঝ রাতে উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযানকালে এ ঘটনা ঘটে জানিয়ে র্যাব-১৫’র অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতা পরিকল্পনা করছেন একদল দুষ্কৃতকারী। এমন তথ্য পেয়ে র্যাব-১৫ একটি আভিযানিক টিম সোমবার রাতে উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভিযানে যায়। সেখানে পৌঁছার পর অভিযান দলের উপস্থিতি টের পেয়ে আরসার সদস্যরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষায় আভিযানিক টিমও গুলি ছুঁড়লে গোলাগুলি চলতে থাকে।
তিনি আরো জানান, গোলাগুলির পর ক্যাম্পের একটি ঘর থেকে আরসার শীর্ষ কমান্ডার মাস্টার ইউনুসসহ আরসার ৪জন সদস্যকে অস্ত্র-গুলি ও বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার করা হয়।এসময় আরো ৪-৫ জনের একটি গ্রুপ পালিয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্যে নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার র্যাব কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে গণমাধ্যমকে সবিশেষ জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার ভোরে ক্যাম্প ৩ ও ৪-এ এপিবিএন সদস্য এবং রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পৃথক এ ঘটনায় নয়জনকে গ্রেফতার ও বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এর আঠারো ঘন্টা পার হতে না হতেই র্যাবের সঙ্গে আরসা সদস্যদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটলো।













