৫ নভেম্বর ২০২৫

আলো ঝলমল দৃষ্টিনন্দন সড়ক বাতিতে আলোকিত বান্দরবান

সবুজ পাহাড়ে ঘেরা পর্যটন নগরী খ্যাত জেলা বান্দরবান। এই জেলায় প্রতিবছর ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পর্যটকরা ছোট বড় পাহাড় ও ঝিরি ডিঙিয়ে ছুটে চলে নাফাকুম, বগালেক, আমিয়াকুম, দেবতাকুমসহ নানা পর্যটন স্পটে। দিনের সমস্ত ক্লান্তির শেষে রাতটা একটু আরামে কাটাতে পর্যটকরা ফিরে আসেন পাহাড়ের প্রাণকেন্দ্র বান্দরবান শহরে।

বান্দরবানে সড়ক বাতি স্থাপনের পর রাতারাতি বদলে গেছে বান্দরবান শহরের চিত্র। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত নামতেই জ্বলে ওঠে সড়কবাতিগুলো। আর এতেই আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে বান্দরবানের সড়ক। সড়কের দু পাশে জমে উঠে আড্ডা-কোলাহল।

শহরবাসীরা জানান, পৌরসভা এলাকায় সড়কের দু পাশে দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতি স্থাপনের ফলে পাল্টে যাবে শহরের চিত্র। সড়কের দু পাশে রাতের আঁধারে জ্বলবে আলো। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি যানবাহন ও পর্যটকরা রাতের শহর ঘুরে বিমোহিত হবে। তাছাড়া এমন উদ্যোগ নেওয়াতে পৌরসভা ও পার্বত্যমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরবাসীরা।

জানা গেছে, বান্দরবান বাসষ্ট্যান্ড থেকে সার্কিট হাউজ পর্যন্ত জেলা শহরের চিত্র বদলাতে সড়কের দু পাশে স্থাপন করা হবে দৃষ্টিনন্দন বাতি (ষ্ট্রিট লাইট) । এই লাইটগুলো বড় সড়কের দু পাশে মানুষের যাতায়াত ও সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য স্থাপন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নের ও বান্দরবান পৌরসভার বাস্তবায়নে শহরকে আধুনিক রুপে রূপায়িত করতে এই উদ্যেগটি নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ১৫০ টি দৃষ্টিনন্দন বাতি স্থাপন করা হবে বান্দরবানের রাস্তায়। পরবর্তীতে পুরো বান্দরবানকে আধুনিক জেলা হিসেবে রুপ নিতে ধাপে ধাপে স্থাপন করা হবে আরও দৃষ্টিনন্দন বাতি।

বেড়াতে আসা পর্যটক কামাল,অভি, মৌমিতার সাথে রাত্রীকালীন এক চায়ের আড্ডায় কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা জানিয়েছেন, চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। এই সবুজের বুকের মেঘের খেলা দেখতে বান্দরবানের সুযোগ পেলে দল বেধেঁ ছুটে আসেন ঘুরতে। পাহাড়ের প্রকৃতি দেখতে কোন মৌসুম বাদ দেননি। শুধু তাই নয় রাতে এই দৃষ্টিনন্দন সড়কের বাতি দেখে তারা আরো আনন্দ পেয়েছেন। এই বাতি ঢাকা শহরে দেখলেও বান্দরবানে আধুনিকভাবে ছোয়াতেই আরো বিমোহিত হয়েছেন। তবে এটি রক্ষণাবেক্ষন করার আহ্ববান জানান তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান পৌরসভা কার্যালয় থেকে তাজিং ডং পর্যন্ত সড়কের দুপাশে স্থাপন করা হয়েছে ২৯টি দৃষ্টিনন্দন বাতি (ষ্ট্রিট লাইট)। মাটি থেকে বাতির উচ্চতা প্রায় ১৫ ফুট। প্রতিনি ল্যাম্পস্ট্রিটে বসানো রয়েছে ৫টি লাইট।

পৌরসভা তথ্যনুযায়ী, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের অধীনের বাসস্ট্যান্ড থেকে সার্কিট হাউজ পর্যন্ত স্থাপন করা হবে ১৫০টি দৃষ্টিনন্দন বাতি। বর্তমানে পৌরসভা হতে জেলা প্রশাসক কার্যালয় পর্যন্ত স্থাপন করা হয়েছে মোট ২৯টি বাতি। কয়েকটি বাতির বিদ্যুতের লাইন স্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। তবে বরাদ্ধকৃত অর্থের পরিমান কত হবে সে ব্যাপারে এখনো জানায়নি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

বান্দরবান পৌরসভা ভারপ্রাপ্ত মেয়র সৌরভ দাশ শেখর বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির নির্দেশনায় পৌর এলাকাকে আধুনিক শহর রুপান্তর করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকরা রাতে শহর ঘুরে বিমোহিত হবে। তাছাড়া বান্দরবান জেলাকে অনান্য জেলা থেকে স্মার্ট জেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

আরও পড়ুন