২৫ অক্টোবর ২০২৫

আসামি ধরার নামে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট ও নারী হেনস্তা, এসআই প্রত্যাহার

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি »

সীতাকুণ্ডে আসামি ধরতে তল্লাশির নামে ঘরের আলমারি খুলে দেড় লাখ টাকা, স্বর্নালংকার জব্দ এবং আসামির স্ত্রীর পেটে লাতি মারার অভিযোগে মাহবুব মোরশেদ নামে সীতাকুণ্ড মডেল থানার উপ-পরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) প্রত্যাহার প্রত্যাহার আদেশ জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম।

রোববার সকালে খালেদা আক্তার নামের এক গৃহিণী পুলিশ সুপার বরাবর এসআই মাহবুব মোর্শেদের বিরুদ্ধে মারধর ও টাকা লুটের অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগে খালেদা আক্তার উল্লেখ করেন, শনিবার দুপুর আড়াইটায় এসআই মাহাবুব মোরশেদ ৫জন পুলিশ কন্সটেবলসহ খালেদা আক্তারের স্বামী গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি নুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে যান। এসময় তার সাথে দুই কনেস্টেবল ও একজন সোর্স ছিল।পুলিশ তাকে না পেয়ে এসআই মাহবুব আলমারির চাবি দিতে বলেন। খালেদা আক্তার চাবি দিতে অস্বীকার করলে তাকে লাথি মারেন। এরপর চাবি নিয়ে ঘরের আলমারি তল্লাশি করে গরু বিক্রি করা দেড় লাখ টাকা, আধাভরি স্বর্ণ ও ছেলে রিয়াজ উদ্দিন হৃদয়ের স্কুল-কলেজের সার্টিফিকেট জব্দ করে নিয়ে যায়।

পর দিন রোববার খালেদা আক্তার ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। অভিযোগ পত্র গ্রহণ করার পর ওই কপি সীতাকুণ্ড সার্কেল অফিসে জমা দিতে বলা হয়। জমা দিতে গেলে থানা থেকে সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হয় তাকে। তবে তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

যদিও অভিযুক্ত এসআই মাহবুব মোরশেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। আপনারা ঘটনার গভীরে গিয়ে দেখতে পারেন। পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে এরকম ষড়যন্ত্রের শিকার হলে চাকরি করা যাবে না।

ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এসআই মাহাবুব আসামি ধরতে থানা থেকে অনুমোদন নিয়েই গিয়েছিল, তবে আসামির বাড়িতে কি ঘটেছে তদন্তে জানা যাবে। তদন্তে দোষী হলে এসআই-এর বিচার হবে, আর নির্দোষ হলে মিথ্যা অভিযোগেরও বিচার হবে।

উল্লেখ্য, এসআই মাহবুব মোরশেদ গত ৬ মাস ধরে সীতাকুণ্ড থানায় কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

আরও পড়ুন