৯ নভেম্বর ২০২৫

আয়াতের লাশের খণ্ডিতাংশ মিলল সাগরপাড়ে

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় খুনের পর কেটে ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া পাঁচ বছরের শিশু আয়াতের শরীরের খণ্ডিতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ধারণা করা হচ্ছে, খণ্ডাংশ দুটি আয়াতের পা।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর আকমল আলী রোডের শেষপ্রান্তে একটি নালায় স্লুইচগেটের কাছে বিচ্ছিন্ন দুই পায়ের অংশ পাওয়া গেছে বলে জানান পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান।

তিনি বলেন, আয়াত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আবীর আলী যে স্থানে মৃতদেহের খণ্ডিত অংশ ফেলেছিল বলে জানিয়েছে, তার অন্তত ৪০০ মিটার দূরে দুটি পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় পা দুটি পাওয়া যায়।

‘পানি উন্নয়ন বোর্ড ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে টানা কয়েক দিন ধরে ওখানে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। অবশেষে আজ স্লুইচ গেইটের শেষ প্রান্তে একটি গর্তের ভেতর টেপ মোড়ানো দুটি প্যাকেট পাওয়া যায়, যেগুলোতে দুটি খণ্ডিত পা ছিল।’—যোগ করেন তিনি।

এসময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে আয়াতের বাবা সোহেল রানা বলেন, ‘ ওই (আবির) আমার মেয়েকে অনেক কষ্ট দিয়ে মেরেছে। আজকে ১৫ দিন ধরে আমার মেয়ে পানিতে ভাসছে। সে কত কষ্ট পাচ্ছে। আমার মেয়ের মুখ অনেক সুন্দর। এই মুখ দিয়ে বাবা বাবা বলে ডাকত। সেই সুন্দর মুখটি দেখতে চাই।’

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে আয়াত বাসার পাশে একটি মক্তবে পড়তে যায়। কিন্তু সে মক্তবে পৌঁছায়নি, বাসায়ও আসেনি। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। ১০ দিন পর তার পরিবার জানতে পারে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী (১৯) তাকে হত্যা করে লাশ ৬ টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে

এরপর আবিরকে গ্রেফতার করে গত শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে এবং রোববার পিবিআই টিম তার বর্ণনা অনুযায়ী ঘটনাস্থলগুলোতে গিয়ে লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্য আরও যাচাই এবং আনুষাঙ্গিক প্রমাণ সংগ্রহে পিবিআই তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে।

প্রথম দফায় গত শনিবার (২৬ নভেম্বর) আবিরকে দুইদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত। সোমবার দ্বিতীয় দফায় আরও সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরবর্তীতে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) আবিরের বাবা, মা ও ১৫ বছর বয়সী ছোট বোনকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে তিনদিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ