বাংলাধারা প্রতিবেদন »
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্বরণে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে মুজিব প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদ।
শনিবার ( ২৯ আগস্ট ) নগরীর প্রিয়া কমিউনিটি সেন্টারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিমকে প্রাধান বক্তা করে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র পদপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা মুক্তিযুদ্ধ, সবচেয়ে সফলতম প্রাপ্তি স্বাধীনতা আর সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি হলো বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে দলকে নিশ্চিহ্ন করাই ছিল ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মূল লক্ষ্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দেশে না থাকায় ষড়যন্ত্রকারীদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতেই বারবার শেখ হাসিনাকে টার্গেট করা হচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিকারের ব্যাপারে তৎকালীন বিএনপি সরকার নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করেছিল। শুধু তাই নয়, এ হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের রক্ষা করতে সরকারের কর্মকর্তারা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত পাঁচটি গ্রেনেড ধ্বংস করে দিয়ে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামীদের আন্তর্জাতিক লবিংয়ের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার জোড়ালো দাবী জানানো হয়।
এছাড়াও সভায় বিশেষ আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্রী চন্দন ধর, আলোচক অ্যাডভোকেট এম এ নাছের, শ্রী জহর লাল হাজারী, মুখ্য আলোচক শ্রী শুকলাল দাশ, কে বি এম শাহজাহান, বাবু মিথুন বড়ুয়া, আবু সাইদ সুমন, অমিতাভ চৌধুরী বাবু, যুবায়ের, সাব্বির সাকির, ওয়াহিদসহ প্রমুখ ।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/ইরা













