বাংলাধারা ডেস্ক »
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মালিকানাধীন ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে। গত ২১ মার্চ ১৪ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয় বলে জানিয়েছে নৌ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাহাজটি গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে গমন করে। অলভিয়া বন্দরের ইনার এ্যাংকরেজে অবস্থানকালীন ২৮ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। এতে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হওয়া, পাইলট না পাওয়া এবং বন্দরের প্রবেশমুখে মাইন স্থাপন ইত্যাদি কারণে অলভিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় জাহাজটি অলভিয়া বন্দরের ইনার এ্যাংকরেজ থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি।
ওই বছরের ২ মার্চ ইউক্রেন স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের ইনার এ্যাংকরেজে অবস্থানকালে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে আঘাত হানে। এতে জাহাজের তৃতীয় প্রকৌশলী মো. হাদিসুর রহমান নিহত হন এবং জাহাজের ব্রিজরুমসহ সব নেভিগেশন টুলস্ সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জাহাজটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জাহাজের হাল বিমাকারী রাষ্ট্রায়াত্ত বিমা প্রতিষ্ঠান সাধারণ বিমা কর্পোরেশনকে অবহিত করে ফরমাল নোটিশ অব এবানডোন (পরিত্যাক্ত) প্রদান করা হয় এবং কনস্ট্রাকটিভ টোটাল লস (সিটিএল) দাবি উপস্থাপন করা হয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসের সহায়তায় এবং বিএসসি’র প্রচেষ্টায় গত ৯ মার্চ জাহাজে থাকা নাবিকদের এবং ১৪ মার্চ হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে আনা হয়। এরপর ১৬ জুন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত নাবিক/তাদের পরিবারের মাঝে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়। বিমা চুক্তির বুকিং অ্যান্ড ট্রাপিং ক্লজ অনুযায়ী গত ২৮ ফেব্রুয়ারি টিসিএল সাইকেল সমাপ্ত হওয়ার পর বিমাকারী ও পুনঃবিমাকারী দাবির অঙ্ক মার্কিন ডলার ২২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন দ্রুত আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দাবিকৃত ২২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন হতে বিমা প্রিমিয়াম বাদ দিয়ে বিমাকারী সাধারণ বিমা কর্পোরেশন বিএসসিকে ১৪ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন পরিশোধ করা হয়েছে যা গত ২১ মার্চ বিএসসি’র স্থানীয় ব্যাংকে গৃহীত হয়।
ফলে, সাধারণ বিমা কর্পোরেশন থেকে ১৪ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাপ্তির মাধ্যমে বিএসসি যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের বর্তমান বাজার মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ আদায় করতে সক্ষম হয়।













