আন্তর্জাতিক ডেস্ক»
রাশিয়ার আগ্রাসনের পর অন্তত ৩ লাখ ৬৮ হাজার মানুষ ইউক্রেনে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি লোক পালিয়ে পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে গত তিন দিনে ইউক্রেন থেকে রোমানিয়ায় পালিয়েছে ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ দিনের মতো যুদ্ধ চলছে।
এই যুদ্ধে রুশ ক্ষয়ক্ষতির একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হানা মালিয়া। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেন, এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৩০০ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন।
তবে বিবিসি এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। রাশিয়াও এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
ইউক্রেনের মন্ত্রীর দেওয়া তালিকায় ২৭টি বিমান, ২৬টি হেলিকপ্টার, ১৪৬টি ট্যাংক, ৭০৬টি সাঁজোয়া যান, ৪৯টি কামান, ১টি বুক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪টি গ্র্যাড রকেট লঞ্চ সিস্টেম, ৩০টি যানবাহন, ৬০টি ট্যাঙ্কার, ২টি ড্রোন ও ২টি নৌকা ধ্বংসের কথা বলা হয়।
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ঢুকে পড়েছে রুশ বাহিনী। তারা শহরের প্রতিরোধ বেষ্টনী ভেদ করেছে। সেখানে তাদের সঙ্গে এখন ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর লড়াই চলছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণের মেলিটোপল দখল করে নেওয়ার পর এবার ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে প্রবেশ করেছে রাশিয়ান সেনাবাহিনী, বলছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। রাতভর মিসাইল হামলার পর রাশিয়ান বাহিনী শহরটিতে প্রবেশ করল।
শহরটিতে মিসাইল হামলায় একটি ৯ তলা আবাসিক ভবন ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার জরুরি বিভাগ। ভবনটির বেজমেন্টে আশ্রয় নেওয়ার কারণে ৬০ জনের মতো বাসিন্দার প্রাণ রক্ষা হয়েছে। তবে বয়স্ক একজন নারী মারা গেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা শান্তি চাই, আমরা দেখা করতে চাই, আমরা যুদ্ধের অবসান চাই। ওয়ারশ, ব্রাতিস্লাভা, বুদাপেস্ট, ইস্তাম্বুল, বাকু—এসব জায়গায় আলোচনায় বসার জন্য আমরা রাশিয়ার কাছে প্রস্তাব করেছি













