বাংলাধারা প্রতিবেদন »
করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশে লকডাউনের মধ্যে ট্রেন গিয়ে যখন প্রতিটি স্টেশনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নগদে টাকা দিয়ে আসছিলো তখন বিষয়টি নজর কাড়ে সবার। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও হয়। পরে ১৮৯০ সাল থেকে চলতে থাকা সেই টাকা দেওয়ার ব্যবস্থাপনাটি ২০২০ সালের এপ্রিলে এসে ১৩০ বছর পর ডিজিটাল হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন ভাতা ও পেনশনের টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
জানা যায়, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে রেলের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বর্তমানে নগদের পরিবর্তে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা প্রায় ২৭ হাজার পেনশন গ্রহীতাদের মধ্যে এই মাসে ইএফটির মাধ্যমে পেনশন দিয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ জনের। ডাটা এন্ট্রি হয়ে গেছে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ জনের। সামনে তারাও পেনশন ইএফটির মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। ডাটা এন্ট্রির কাজ একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই পূর্বাঞ্চলের অবশিষ্ট পেনশন গ্রহীতারা ইএফটির মাধ্যমে পেনশন তুলতে পারবেন।
রেলসচিব মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেমেন্ট সিস্টেম ডিজিটালে দিতে আরও কিছু সময় লাগবে। পূর্বাঞ্চলে ডিজিটালে দেওয়া শুরু হলেও পশ্চিমাঞ্চলে এখনও শুরু করতে পারেনি। আশাকরছি করোনা ভাইরাস স্বাভাবিক হলে কয়েক মাসের মধ্যে পেমেন্ট সিস্টেম ডিজিটালে নিয়ে আসতে পারবো।
সূত্র : বাংলানিউজ
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













